— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
স্বামীকে খুনের দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হল স্ত্রীর। তবে প্রমাণের অভাবে বেকসুর খালাস প্রেমিক। মঙ্গলবার শিলিগুড়ি আদালতের বিচারক মৈনাক দাশগুপ্ত এই রায় ঘোষণা করেছেন। ২০২৩ সালের শিলিগুড়ির বিধাননগর হত্যামামলায় শাস্তি ঘোষণা হল মঙ্গলবার।
২০২৩ সালের ১৮ অগস্ট সুবোধ মণ্ডল নামে এক ব্যক্তির দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। অভিযোগ ওঠে শ্বাসরোধ করে সুবোধকে খুন করেছেন স্ত্রী এবং তাঁর প্রেমিক। অভিযোগ দায়ের হয় থানায়। পরিবারের দাবি, স্ত্রীর পরকীয়া সম্পর্কে বাধা হয়ে দাঁড়ানোয় সুবোধকে খুন করা হয়েছে। অভিযুক্ত হিসাবে নাম করা হয় সুবোধের স্ত্রী মঞ্জু মণ্ডল এবং মহম্মদ নজরুল নামে এক যুবকের। যদিও প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের মনে হয়েছিল, এটি আত্মহত্যার ঘটনা। ফাঁসিদেওয়া থানায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু হয়। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পর পুলিশ জানতে পারে সুবোধকে শ্বাসরোধ করে খুনই করা হয়েছে। এর পরেই সুবোধের স্ত্রী এবং ওই যুবককে গ্রেফতার করা হয়। সেই বছরের ১৫অক্টোবর আদালতে চার্জশিট জমা দেয় পুলিশ। ওই মামলায় মোট ১৬ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়।
বিভিন্ন সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে স্বামীকে খুনের অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন মঞ্জু। কিন্তু তাঁর ‘প্রেমিকের’ বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ প্রতিষ্ঠিত হয়নি। সোমবার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতের ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে মঞ্জুকে দোষীকে সাব্যস্ত করা হয়। মঙ্গলবার তাঁর শাস্তি ঘোষণা করেন বিচারক দাশগুপ্ত। সরকারি আইনজীবী গৌতম সাহা বলেন, ‘‘মঞ্জুকে আমৃত্যু কারাদণ্ডের সাজা দেওয়া হয়েছে। তবে তাঁর প্রেমিক ছাড়া পেয়েছেন। কারণ, তার বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। তাই তাঁকে বেকসুর খালাস করেছে আদালত।’’