প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
নেপাল থেকে ভারতে পাচার করা হচ্ছিল ১৪০০ কুইন্টাল চিনা রসুন। কিন্তু উত্তরপ্রদেশের মহাকাজগঞ্জের কাছে শুল্ক দফতরের আধিকারিকরা সেই পাচার আটকে দেন। বাজেয়াপ্ত করা হয় চিনা রসুন। সূত্রের খবর, বাজারে যে রসুন মেলে হুবহু একই রকম দেখতে চিনা রসুন। ফলে দুই ধরনের রসুনের মধ্যে সহজে পার্থক্য খুঁজে পাওয়া যাবে না। কিন্তু চিনা রসুন স্বাস্থ্যের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকারক বলেই দাবি করা হচ্ছে।
কোনও প্রাকৃতিক উপায়ে নয়, কৃত্রিমভাবে এই রসুনে প্রাণঘাতী ছত্রাক রয়েছে। ভারতের বাজারে চিনা রসুন ছড়িয়ে পড়লে তার পরিণাম যে ভয়ঙ্কর হতে পারে, তা আঁচ করেই এই রসুন পাচারের উপর নজরদারি বাড়ানো হয়েছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। উত্তরপ্রদেশে ভারত-নেপাল সীমান্তে আটক হওয়া ১৪০০ কুইন্টাল রসুন নষ্ট করে শুল্ক দফতর। বিপুল পরিমাণ রসুন মাটির নীচে পুঁতে দিয়ে শুল্ক দফতরের আধিকারিকরা সেখান থেকে চলে আসতেই স্থানীয়দের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। চিনা রসুন নিতে স্থানীয়দের মধ্যে কাড়াকাড়ি পড়ে যায়। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
গত কয়েক মাসে বেশ কয়েক বার চিনা রসুন পাচার রুখে দিয়েছে শুল্ক দফতর। নেপাল থেকে ভারতে ঢোকার সময় বেশ কয়েক টন চিনা রসুন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। এই রসুন স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক এটা জানার পরেও কেন ঠিক মতো নষ্ট করা হল না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।