বর্ষবরণের রাতে বেঙ্গালুরুতে মানুষের ঢল। —ফাইল চিত্র।
বর্ষবরণের রাতে প্রকাশ্যে শিস দেওয়া এবং চোখ ঢাকা শৌখিন মুখোশ পরা নিষিদ্ধ করল বেঙ্গালুরু পুলিশ। ভিড়ের মধ্যে কোথাও যাতে কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি না-হয়, সে জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কলকাতায় বড়দিন বা বর্ষবরণের সময়ে পার্ক স্ট্রিট যেমন চেহারা নেয়, বেঙ্গালুরুর ক্ষেত্রে মহাত্মা গান্ধী রোডও সে রকমই। বর্ষশেষের রাতে প্রচুর মানুষের ভিড় হয় বেঙ্গালুরুর এই রাস্তায়। ২০১৭ সালে বর্ষবরণের রাতে বেঙ্গালুরুর এমজি রোডে বেশ কয়েক জন মহিলাকে হেনস্থা এবং শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠে। তার পর থেকে নজরদারি আরও বৃদ্ধি করে বেঙ্গালুরু পুলিশ।
বর্ষশেষের রাতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এ বছর বেঙ্গালুরুর এমজি রোড চত্বরে দু’হাজারেরও বেশি পুলিশকর্মী মোতায়েন করা হচ্ছে। তৈরি করা হয়েছে একটি মিনি কন্ট্রোল রুম, যেখান থেকে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে সিসি ক্যামেরার ফুটেজের উপর নজর রাখা হবে। স্পর্শকাতর অঞ্চলগুলিকে চিহ্নিত করে বসানো হয়েছে প্রায় ১৫০টি সিসি ক্যামেরা।
বর্ষশেষের রাতে বেঙ্গালুরু মেট্রোতেও প্রচুর ভিড় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মঙ্গলবার রাত ২টো পর্যন্ত মেট্রো এবং বাস পরিষেবা চালু থাকবে বেঙ্গালুরুতে। কোনও যাত্রী মহিলাদের উত্ত্যক্ত করলে তাঁকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বেঙ্গালুরু মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি মেট্রোর কর্তৃপক্ষের তরফেও ৫০০ টাকা জরিমানা করা হবে। মেট্রোর প্রতিটি কামরায় নিরাপত্তাকর্মী মোতায়েন থাকবেন বলেও জানানো হয়েছে। এ ছাড়া বেঙ্গালুরু শহরে টহল দেবে মহিলা পুলিশকর্মীদের বিশেষ দল। ওই বাহিনীর মূল লক্ষ্য থাকবে বর্ষবরণের রাতে মহিলাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।