দুই উপগ্রহ চিত্র পার্থক্য স্পষ্ট।
পূর্ব লাদাখে ভারত-চিন সঙ্ঘাত এখনও মেটেনি। তার মধ্যেই এমন ছবি সামনে এল, যাতে অরুণাচল সীমান্তেও নয়াদিল্লি-বেজিং সম্পর্কের উত্তাপ আরও বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। সম্প্রতি প্রকাশিত একটি রিপোর্টের ছবিতে স্পষ্ট, অরুণাচল সীমান্তের খুব কাছে নতুন করে অন্তত তিনটি গ্রাম তৈরি করে ফেলেছে শি চিনফিং সরকার। নয়াদিল্লি এখনও এ নিয়ে কোনও মন্তব্য না করলেও, বিষয়টির উপর নজর রয়েছে বলে সাউথ ব্লকের একাধিক সূত্রে খবর।
ভারত-চিন-ভুটান— এই তিন দেশের সীমান্তে অবস্থিত বুম লা (গিরিপথ)। এই গিরিপথের জংশনে ভারতের সীমান্ত থেকে মাত্র ৫ কিলোমিটার দূরে নিজেদের ভূখণ্ডে গত এক বছরে অন্তত তিনটি গ্রাম তৈরি করেছে চিন। সম্প্রতি প্রকাশিত এমনই একটি রিপোর্টে যে উপগ্রহ চিত্র মিলেছে, তাতে এই ৩টি গ্রাম তৈরির ছবি ধরা পড়েছে। এই গ্রামগুলি ডোকালাম থেকে মাত্র ৭ কিলোমিটারের মধ্যে।
‘প্ল্যানেট ল্যাব’ নামে একটি সংস্থার উপগ্রহ চিত্রে দেখা গিয়েছে এ বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি একটি মাত্র গ্রাম ছিল। তাতে ২০টি কাঠামো ছিল। ২৮ নভেম্বরের আরেকটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে, আরও অন্তত ৩টি এনক্লেভ তৈরি হয়েছে। অর্থাৎ এই গ্রামগুলি ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৮ নভেম্বরের মধ্যে তৈরি হয়েছে বলে ধরে নেওয়া যায়। প্রতিটি এনক্লেভে প্রায় ৫০টি কাঠামো বা বাড়ি। সবগুলিই কাঠের তৈরি। ১ কিলোমিটারের দূরত্বে তৈরি হয়েছে এই ৩টিনতুন গ্রাম। সবকটি গ্রামের সঙ্গে সংযোগকারী রাস্তাগুলিও পাকা, পিচের তৈরি। ওই গ্রামগুলিতে অন্য এলাকা থেকে বাসিন্দাদের নিয়ে এসে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও একটি সূত্রে খবর।
আরও পড়ুন: হাল ছাড়েননি ট্রাম্প! জর্জিয়ার গভর্নরকে ফোন করে প্রভাব খাটানোর চেষ্টা
আরও পড়ুন: প্রয়াত ‘মছলিবাবা’ মনু মুখোপাধ্যায়
পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় ভারত-চিন সঙ্ঘাত শুরু হয়েছিল মে মাসের গোড়ার দিকে। ১৫ জুন গালওয়ান উপত্যকায় নজিরবিহীন সেনা সংঘর্ষে বিপুল প্রাণহানি এবং তার পর দফায় দফায় কূটনৈতিক ও সামরিক স্তরে আলোচনার পরেও সেই সঙ্ঘাত মেটেনি। কূটনৈতিক পর্যবেক্ষকদের অনেকেই মনে করছেন, নয়াদিল্লি যখন পূর্ব লাদাখ নিয়ে ব্যস্ত, সেই ফাঁকেই সুকৌশলে এই গ্রামগুলি তৈরি করে ফেলেছে বেজিং। আর তার জেরে ভারত-চিন দ্বন্দ্ব আরও বাড়তে চলেছে বলে মনে করছে কূটনৈতিক শিবির।