লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় ভারত-চিনের কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক ভেস্তে গেল। ছবি: পিটিআই।
লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় সেনা সরানো নিয়ে ভারত-চিনের বৈঠক ফলপ্রসূ হল না। রবিবার চিনের দিকে মোল্ডো পয়েন্টে দু’দেশের মধ্যে সেনা পর্যায়ের বৈঠক ছিল। বৈঠকের আগে থেকেই একটা টানটান উত্তেজনা ছিল প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায়। কোনও রফাসূত্র বেরোয় কি না সে দিকে নজর ছিল নয়াদিল্লির। কিন্তু সেই আশায় জল ঢেলেছে চিন।
বৈঠকের আগেই ভারতীয় সেনাপ্রধান এমএম নরবণে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন চিন যদি সেনা না সরায় তা হলে ভারতও সেনা সরাবে না। রবিবার প্রায় সাড়ে আট ঘণ্টার বৈঠকে কোনও সামধানসূত্র না বেরোনোয় পরিস্থিতি ফের উত্তপ্ত হল। ভারতের দাবি, একটা গঠনমূলক আলোচনার প্রস্তাব রাখা হয়েছিল চিনের কাছে। কিন্তু তাদের দেওয়া প্রস্তাবে রাজি হয়নি চিন। এবং কোনও ভাবেই সহযোগিতা করতে চায়নি। ফলে সেনা সরানোর বিষয়টি আপাতত বিশ বাঁও জলেই রইল। সঙ্গে উত্তাপও বাড়ল প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায়।
সেনা সরানোর বিষয়ে কোনও রফাসূত্র না বেরোলেও দু’দেশের সেনাই নিয়ন্ত্রণরেখায় নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে সূত্রের খবর। সোমবার প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে এক বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, ‘আমরা আশা করছি চিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয়টি মাথায় রেখে এই সমস্যা নিয়ে দ্রুত সমাধানের রাস্তায় হাঁটবে। পাশাপাশি, দু’দেশের মধ্যে যে চুক্তি হয়েছে তা-ও মেনে চলবে।’
সেনা সূত্রের খবর, কেন বার বার চুক্তি ভঙ্গ করে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় অস্থিরতা তৈরি করার চেষ্টা করছে, এ নিয়ে চিনকে প্রশ্ন করা হয়েছিল। একই সঙ্গে ওই অঞ্চলে শান্তি বজায় রাখার আহ্বানও জানানো হয়। কিন্তু তাঁদের সেই প্রস্তাবে সায় দেয়নি চিন।
অন্য দিকে চিনের পাল্টা অভিযোগ, ভারত অযৌক্তিক এবং ভিত্তিহীন দাবি করছে। পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ)-র মুখপাত্রের দাবি, নিজেদের সার্বভৌমত্ব অক্ষুণ্ণ রেখে চিন এই সমস্যা সমাধানে প্রস্তুত। তাঁর অভিযোগ, ভারত এই পরিস্থিতিকে ভুল ভাবে বিচার করছে। শুধু তাই নয়, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় এই পরিস্থিতিটা তারা উপভোগ করছে। ভারতেই উচিত সীমান্তে শান্তি বজায় রাখা।