প্রতীকী ছবি।
দিল্লিতে নির্বাসিত তিব্বত সরকারের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে দেখা করার বিষয়টিতে তীব্র আপত্তি জানিয়ে ভারতের ছয় সাংসদের উদ্দেশে চিঠি পাঠিয়েছে চিন সরকার। সাংসদদের তরফে অবশ্য একে চিনের অনধিকার চর্চা হিসেবে পাল্টা সমালোচনা করা হয়েছে।
তিব্বতের সঙ্গে সাংস্কৃতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক বিস্তার নিয়ে আলোচনার জন্য ‘অল পার্টি ইন্ডিয়ান পার্লামেন্টারি ফোরাম ফর টিবেট’-এর সদস্য ছয় সাংসদ গত সপ্তাহে দিল্লিতে তিব্বত সরকারের নেতাদের সঙ্গে দেখা করেন। নৈশাহারেরও আয়োজন ছিল সেখানে। চিনের তরফে চিঠি দিয়ে বলা হয়েছে, ভারতের সাংসদেরা যেন তিব্বতি শক্তিকে এ ভাবে সমর্থন না জোগান। ফোরামের আহ্বায়ক, বিজু জনতা দলের সাংসদ সুজিত কুমার জানান, তিনি নিজে এখনও চিন দূতাবাসের প্রতিবাদী চিঠি হাতে না পেলেও অন্য কয়েক জন সদস্য তা পেয়েছেন। কুমারের মতে, ভারতীয় সাংসদদের কর্মসূচি নিয়ে মন্তব্য করার অধিকার চিনা দূতাবাসের নেই। তাদের কোনও বক্তব্য থাকলে বিদেশ মন্ত্রককে জানাক। এ ভাবে সাংসদদের চিঠি পাঠিয়ে চিন বিধিভঙ্গ করছে। কংগ্রেস সাংসদ মণীশ তিওয়ারির মতে, নির্বোধের মতো কাজ করছে চিনা দূতাবাস। ফোরাম জানিয়েছে, তারা ধর্মশালায় গিয়ে দলাই লামার সঙ্গেও দেখা করার পরিকল্পনা করছে।
তিব্বত থেকে পালিয়ে আসা দলাই লামাকে তাওয়াংয়ে স্বাগত জানানো ও প্রহরা দিয়ে নিয়ে আসা আসাম রাইফেলসের অবসরপ্রাপ্ত হাবিলদার নরেনচন্দ্র দাস বুধবার তেজপুরে নিজের বাড়িতেই মারা গেলেন। ৮৩ বছর বয়স হয়েছিল তাঁর। ১৯৫৯ সালের ৩০ মার্চ তাওয়াং প্রবেশ করেন চতুর্দশ দলাই লামা। তাঁকে সঙ্গে করে তেজপুরে নিয়ে এসেছিলেন ৫ নম্বর আসাম রাইফেলসের সাত সৈনিক। তাঁদের মধ্যে শেষ জীবিত সদস্য ছিলেন নরেন। দলাই লামার বয়স তখন ২২। হাবিলদার নরেনের ২৩। ২০১৭ সালের এপ্রিলে দলাই লামার গুয়াহাটি সফরের সময় নরেনের সঙ্গে তাঁর ফের সাক্ষাৎ হয়। তৈরি হয়েছিল এক আবেগঘন মুহূর্ত।