একই সিরিঞ্জ ব্যবহার করে হাসপাতালের একাধিক রোগীর দেহে ইঞ্জেকশন ফোটানোর অভিযোগ। —প্রতীকী চিত্র।
একই সিরিঞ্জ ব্যবহার করে অনেক রোগীকে ইঞ্জেকশন দিয়েছেন। এক শিশুকন্যার এইচআইভি পজিটিভের ঘটনায় কাঠগড়ায় উত্তরপ্রদেশের এক চিকিৎসক। উত্তরপ্রদেশের ইটাহারের ঘটনা। ইতিমধ্যে এই ঘটনার রিপোর্ট চেয়ে রানি বাঈ লোধী মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট তলব করেছেন উত্তরপ্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী ব্রজেশ পাঠক। তিনি জানান, এমন ঘটনায় কেউ দোষী প্রমাণিত হলে তাঁর কঠোর শাস্তি হবে।
স্থানীয় কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, এক শিশুকন্যাকে রানি বাঈ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। গত ২০ ফেব্রুয়ারি শিশুটির শরীরে এইচআইভি পজিটিভ ধরা পড়ে। জেলাশাসক অঙ্কিত অগ্রবালের কাছে শিশুটির বাবা-মা অভিযোগ করেছেন, একই ইঞ্জেকশন দিয়ে হাসপাতালের একাধিক শিশুকে ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়েছে। যে কারণেই তাঁদের সন্তান এইচআইভিতে আক্রান্ত হয়েছে। তাঁদের আরও অভিযোগ, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানাতে গেলে ওই রাতেই সন্তানকে ছেড়ে দেন। শুধু তাই-ই নয়, দুর্ব্যবহারও করা হয়েছে তাঁদের সঙ্গে।
এই অভিযোগ পেয়ে জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিককে কদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন জেলাশাসক। জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক উমেশকুমার ত্রিপাঠী জানান, তদন্ত চলছে। যা তথ্য পাওয়া যাবে তা রিপোর্ট আকারে জেলাশাসকের কাছে পৌঁছে যাবে। যদি কেউ দোষী প্রমাণিত হন, তাঁর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে।