নিজস্ব চিত্র।
কৃষকদের থেকে ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে ধান কেনার ব্যাপারে রেকর্ড গড়ল ছত্তীসগঢ়। ২০২০-২১ খরিফ মরশুমে রাজ্যের চাষিদের থেকে সব মিলিয়ে ৯২ লক্ষ মেট্রিক টন ধান কিনেছে ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেলের সরকার। যা গত ছ’বছরে সর্বাধিক, বলছে পরিসংখ্যান।
ছত্তীসগঢ়ের সরকার নথিভুক্ত মোট কৃষকের সংখ্যা এখন ২১লক্ষ ৫২হাজার ৪৭৫ জন। এর মধ্যে ২০ লক্ষ ৫৩ হাজার ৪৮৩ জন কৃষক তাঁদের শস্য বিক্রি করতে পেরেছেন সরকারকে। যা মোট কৃষকের সংখ্যার প্রায় ৯৫.৩৮ শতাংশ। সরকারি তথ্য বলছে, এই সংখ্যাটিও গত ২০ বছরে, অর্থাৎ নতুন রাজ্য হিসেবে ছত্তীসগঢ়ের আত্মপ্রকাশের পর থেকে সর্বোচ্চ।
ছত্তীসগঢ়ের বিভিন্ন প্রতিকূল পরিস্থিতি সত্ত্বেও ধানচাষ, উৎপাদন ও বিক্রিবাটার এই বৃদ্ধির জন্য মুখ্যমন্ত্রী বাঘেলের নয়া কৃষিনীতিকেই কৃতিত্ব দিচ্ছেন ধানচাষিদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, চাষিদের সুবিধার্থে বাঘেলের সরকার অনেকরকম পদক্ষেপ করেছেন। যার মধ্যে কৃষকদের সবচেয়ে বেশি সাহায্য করেছে মুখ্যমন্ত্রীর কৃষিঋণ মকুবের সিদ্ধান্ত।
২০১৮ সালে ক্ষমতায় এসেই কৃষকদের ঋণ মকুবের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বাঘেল। ছাড় দেওয়া হয়েছিল সেচ করেও। এই দুই সিদ্ধান্তের জেরেই চাষবাসে আগ্রহ বাড়তে শুরু করে কৃষকদের। পরে রাজীব গাঁধী কিসান ন্যায় যোজনার অধীনে কৃষকদের একর প্রতি ১০ হাজার টাকা করে দেওয়ার সরকারি ঘোষণা কৃষকদের উৎসাহ আরও বাড়ায়। এর পাশাপাশি চাষিদের থেকে ধান সংগ্রহের ব্যাপারেও যথেষ্ট গুরুত্ব আরোপ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। কৃষকরা যাতে ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে তাঁদের ফসলের বিক্রি নিশ্চিত করতে পারেন, সে ব্যাপারে নজর দিয়েছে সরকার। এমনকি, ধান সংরক্ষণের জন্য চটের বস্তার যোগানেও যাতে সমস্যা না হয় সে ব্যাপারে খেয়াল রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
চাষিদের একাংশের মতে, বাঘেলের এই কৃষিনীতির জেরেই গত দু’বছরে উল্লখযোগ্য হারে বেড়েছে রাজ্যের ধান উৎপাদন, ধান জমির পরিমাণ, ধান বিক্রয়কারী কৃষকদের সংখ্যা। ২০১৬ সালে যেখানে মোট চাষীদের ৮৩.৯ শতাংশ ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে নিজেদের ফসল সরকারের কাছে বিক্রি করতে পেরেছিলেন, সেখানে এখন সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৫.৩৮ শতাংশ। ছ’বছরে সরকার নথিভুক্ত কৃষকের সংখ্যাও বেড়েছে প্রায় ১০ লক্ষের কাছাকাছি।