— প্রতীকী চিত্র।
এত দিন ছিল খাঁচার ভিতর। এ বার বায়ু আর অগ্নিকে ছাড়া হল জাল ঘেরা বড় পরিসরে, যাকে বলে ‘বোমা’। সেখানে তারা স্বাধীন ভাবে বিচরণ করতে পারবে। বায়ু এবং অগ্নি হল আফ্রিকা থেকে আনা পুরুষ চিতা। মধ্যপ্রদেশের শেওপুর জেলার কুনো জাতীয় উদ্যানের জাল ঘেরা পরিসরে ওই দুই চিতাকে ছাড়া হয়েছে।
গত এক বছর ধরে আফ্রিকা থেকে আনা চিতাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে এ দেশে। রবিবার সেই পুনর্বাসন প্রকল্প এক বছরে পা দিল। সে দিন আরও দুই পুরুষ চিতা শৌর এবং গৌরবকেও ছোট খাঁচা (কোয়ারেন্টাইন) থেকে ‘বোমা’ বা জাল ঘেরা বড় পরিসরে ছাড়া হয়েছে।
বন দফতরের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, ‘‘স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর প্রোটোকল মেনে বায়ু এবং অগ্নিকে সোমবার বোমায় ছাড়া হয়েছে। দুই চিতাই সুস্থ রয়েছে। গত ২৭ জুন থেকে তারা কোয়ারেন্টাইনে ছিল। পশু চিকিৎসক, প্রবীণ আধিকারিকদের উপস্থিতিতে চিতাদের ছাড়ার প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে।’’
গত বছর ১৭ সেপ্টেম্বর কুনো জাতীয় উদ্যানে আটটি নামিবিয়ার চিতাকে ছাড়া হয়েছিল। তাদের মধ্যে তিনটি পুরুষ, পাঁচটি স্ত্রী। চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আনা আরও ১২টি চিতা কুনো জাতীয় উদ্যানে ছাড়া হয়েছে। মার্চ থেকে তিনটি শাবক-সহ ন’টি চিতা মারা গিয়েছে। বাকি ১৪টি চিতা এবং একটি শাবক এখন সুস্থ রয়েছে।