চারধাম যাত্রায় গিয়ে ৩৯ জন তীর্থযাত্রীর মৃত্যু হল উত্তরাখণ্ডে। আবহাওয়ার সঙ্গে হঠাৎ মানিয়ে নিতে না পারার কারণে ওই তীর্থযাত্রীদের মৃত্যু হয়েছে।
কেদারনাথ মন্দির। ফাইল চিত্র।
চারধাম যাত্রায় গিয়ে ৩৯ জন তীর্থযাত্রীর মৃত্যু হল উত্তরাখণ্ডে। অসুস্থতা থেকেই ওই মৃত্যুগুলি হয়েছে বলে খবর। উত্তরাখণ্ড সরকার জানিয়েছে, পার্বত্য এলাকার আবহাওয়ার সঙ্গে হঠাৎ মানিয়ে নিতে না পারার কারণেই ওই তীর্থযাত্রীদের মৃত্যু হয়েছে। একই সঙ্গে তারা পরামর্শ দিয়েছে, শরীরে কোনও কঠিন রোগের উপসর্গ থাকলে না যাওয়াই ভাল চারধামে।
মে মাসের শুরু থেকে চারধাম যাত্রা সূচনা হয়েছে। ৩ মে অক্ষয় তৃতীয়ার দিন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিংহ ধামী গঙ্গোত্রী এবং যমুনা দ্বারের উদ্বোধন করেন। তার পর ৬ মে ও ৮ মে থেকে শুরু হয় কেদারনাথ ও বদ্রীনাথ যাত্রা। ওই যাত্রার এক মাস কাটতে না কাটতেই পর পর ৩৯ জনের মৃত্যুর খবর সামনে আসে। মৃত্যুর কারণ হিসাবে চিকিৎসক শৈলজা ভাট জানিয়েছেন, এর জন্য উচ্চ রক্তচাপ, দুর্বলতা, শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কম থাকা এবং হৃৎপিণ্ড সংক্রান্ত সমস্যাই দায়ী। তাঁর পরামর্শ, ওই উচ্চতায় অসুস্থদের না যাওয়াই ভাল।
ওই চিকিৎসক আরও বলেন, ‘‘বেশির ভাগ তীর্থযাত্রী মাউন্ট সিকনেস-এর শিকার হয়েছেন। অর্থাৎ পার্বত্য এলাকায় বেশি হাঁটলে বা বেশি উচ্চতায় উঠলে তীব্র দুর্বলতা দেখা দেয়। তা থেকে অনেকের মৃত্যু পর্যন্ত হয়। তবে এই ঘটনাগুলি নিয়ে উত্তরাখণ্ডের সরকার খুবই চিন্তিত। তাদের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, অন্যান্য জায়গার থেকে এখানকার আবহাওয়া সম্পূর্ণ আলাদা। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা মানুষরা সেই আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারছেন না। ফলে যাত্রীদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে। পুণ্যার্থীরা যদি দু’এক দিন বিশ্রাম করে যাত্রা শুরু করেন তাতে ক্ষতির আশঙ্কা কিছুটা এড়ানো যেতে পারে।
চারধামে যাওয়া যাত্রীরা জানাচ্ছেন, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই মাথাব্যথা, মাথা ঘোরা, বমি বমি ভাব, ক্লান্তি এবং শক্তি হ্রাস, শ্বাসকষ্ট এবং ঘুমের সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। বেশির ভাগ মৃত্যুর ক্ষেত্রে এই কারণগুলিই দায়ী। উত্তরাখণ্ড সরকার প্রবেশ পথগুলিতে শারীরিক পরীক্ষার বন্দোবস্ত করেছে। কোনও উপসর্গ এবং দুর্বলতা ধরা পড়লে তারা চারধামে উঠতে বাধা দিচ্ছে।