(বাঁ দিকে) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং টিডিপি প্রধান চন্দ্রবাবু নায়ডু। ছবি: পিটিআই।
অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিলেন তেলুগু দেশমের (টিডিপি) প্রধান চন্দ্রবাবু নায়ডু। তাঁর ডেপুটি হিসাবে শপথ নেন জনসেনা দলের প্রধান তথা অভিনেতা পবন কল্যাণ। বিজয়ওয়ারার এই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। চতুর্থ বারের জন্য অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব নিলেন চন্দ্রবাবু।
বুধবার পবন কল্যাণ ছাড়াও আরও ২২ জন বিধায়ক মন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন। সেই তালিকায় রয়েছেন চন্দ্রবাবুর ছেলে নারা লোকেশও। নায়ডুর নতুন মন্ত্রিসভায় এনডিএ-র শরিক দল জনসেনার তিন জন বিধায়ক থাকছেন। বিজেপি বিধায়ক সত্যকুমার যাদব ঠাঁই পেয়েছেন নায়ডুর মন্ত্রিসভায়। বুধবারের অনুষ্ঠানে মোদী ছাড়াও ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী তথা বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা। এ ছাড়াও রজনীকান্ত, চিরঞ্জীবীর মতো চলচ্চিত্র তারকারাও ছিলেন নায়ডুর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে।
অন্ধ্রে লোকসভা নির্বাচন এবং একই সঙ্গে হওয়া বিধানসভা নির্বাচনে জগন্মোহন রেড্ডির ওয়াইএসআর কংগ্রেসকে হারিয়ে দিয়েছে টিডিপি, জনসেনা এবং বিজেপির জোট। ১৯৯৫ সাল থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত অবিভক্ত অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন চন্দ্রবাবুই। ২০১৪ সালে বিভাজিত অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেন তিনিই।
২০১৯ সালে হিসাব বদলে যায়। সে বছর এনডিএ ছেড়ে বেরিয়ে এসে তৃতীয় ফ্রন্ট গড়ে তোলার চেষ্টা করেন চন্দ্রবাবু। কিন্তু তা কার্যকরী হয়নি। বিধানসভায় ভরাডুবি হয় তাঁর। অন্ধ্রের বিধানসভা নির্বাচনে গদি উল্টোয় চন্দ্রবাবুর। সরকার গড়ে জগন্মোহন রেড্ডির দল ওয়াইএসআরসিপি। কিন্তু পাঁচ বছর পর হারানো গদি ফিরে পান চন্দ্রবাবু। এনডিএ-র সঙ্গে হাত মিলিয়ে এ বারের ভোটে লড়েন তিনি। উল্লেখ্য, ১৭৫ আসনের বিধানসভায় টিডিপি ১৩৫টি আসন জেতে। তাদের জোটসঙ্গী জনসেনা ২১টি আসন এবং বিজেপি আটটি আসন পেয়েছে।