Champai Soren

ইস্তফা দিয়ে দিলেন চম্পই সোরেন, পাঁচ মাস পরে আবার ঝাড়খণ্ডের কুর্সিতে ফিরতে চলেছেন হেমন্ত

গত ৩১ জানুয়ারি ঝাড়খণ্ডে জমি দুর্নীতি সংক্রান্ত বেআইনি আর্থিক লেনদেনের মামলায় হেমন্তকে গ্রেফতার করেছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি। গ্রেফতারির আগে মুখ্যমন্ত্রিত্বে ইস্তফা দিয়েছিলেন তিনি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ জুলাই ২০২৪ ২০:১২
Share:

(বাঁ দিকে) চম্পই সোরেন। হেমন্ত সোরেন (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

জামিন পেয়ে জেল থেকে বেরোনোর এক সপ্তাহের মাথাতেই ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে ফিরতে চলেছেন হেমন্ত সোরেন। বুধবার সন্ধ্যায় রাজ্যপাল সিপি রাধাকৃষ্ণনের কাছে মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেন চম্পই সোরেন। তার পরেই নতুন করে জেএমএম-কংগ্রেস-আরজেডি জোটের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেওয়ার জন্য আবেদন জানান হেমন্ত।

Advertisement

জেএমএম পরিষদীয় দলের বৈঠকে বুধবারই মুখ্যমন্ত্রী চম্পইকে সরিয়ে হেমন্তকে ফেরানোর বিষয়ে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে বলে দলের একটি সূত্র জানাচ্ছে। ওই সূত্রের দাবি, হেমন্তের এই উদ্যোগে ক্ষোভপ্রকাশ করেন চম্পই। তবে শেষ পর্যন্ত দলের সিদ্ধান্ত মেনে ইস্তফা দিতে রাজি হয়েছেন ‘সিংভূমের টাইগার’। বর্তমানে জেএমএমের শীর্ষপদে রয়েছেন হেমন্তের বাবা শিবু সোরেন। হেমন্ত দলের কার্যকরী সভাপতি পদে। শিবু-পুত্রকে তৃতীয় বার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ দেওয়ার বিনিময়ে চম্পইকে নতুন কার্যকরী সভাপতি করা হতে পারে বলে জল্পনা।

প্রসঙ্গত, গত ৩১ জানুয়ারি ঝাড়খণ্ডে জমি দুর্নীতি সংক্রান্ত বেআইনি আর্থিক লেনদেনের মামলায় হেমন্তকে গ্রেফতার করেছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। গ্রেফতারির আগে মুখ্যমন্ত্রিত্বে ইস্তফা দিয়েছিলেন তিনি। হেমন্তের অনুপস্থিতিতে চম্পইকে মুখ্যমন্ত্রী মনোনীত করেন জেএমএম নেতৃত্ব। পাঁচ মাস রাঁচীর বিরসা মুন্ডা জেলে বন্দি থাকার পরে গত ২৮ জুন ঝাড়খণ্ড হাই কোর্টের নির্দেশে মুক্তি পান হেমন্ত। তার পরেই তিনি মুখ্যমন্ত্রিত্বে ফিরতে পারেন বলে জল্পনা শুরু হয়।

Advertisement

হেমন্তের বিদায়ী মন্ত্রিসভার পরিবহণ মন্ত্রীর পদে ছিলেন চম্পই। সেরাইকেলা-খরসঁওয়া জেলার সেরাইকেলা আসনে ২০০৫ সাল থেকে টানা চার বারের এই জেএমএম বিধায়ক গোটা সিংভূম অঞ্চলের প্রভাবশালী নেতা। সেখানে ‘টাইগার’ নামে তিনি পরিচিত। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে জামশেদপুর হেরে গেলেও সে বছরের বিধানসভা ভোটে বিপুল জয়ী হয়েছিলেন চম্পই। প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ডিসেম্বরে ঝাড়খণ্ডে বিধানসভা ভোট হওয়ার কথা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement