(বাঁ দিকে) পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং বি পি গোপালিক (ডান দিকে)। গ্রাফিক— শৌভিক দেবনাথ।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত পার্থ চট্টোপাধ্যায়দের জামিন মামলায় রাজ্যের মুখ্যসচিবের অনুমোদন নিয়ে আবার অবস্থান জানতে চাইল কলকাতা হাই কোর্ট। বুধবার বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিচারপতি অপূর্ব সিংহ রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে মুখ্যসচিবকে এ বিষয়ে অবস্থান জানিয়ে উত্তর দিতে হবে। না হলে তাঁর উত্তরের জন্য এই জামিন সংক্রান্ত মামলার শুনানি থমকে থাকবে না। হাই কোর্ট জানায়, এর পরে নিয়মিত এই মামলার শুনানি হবে।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ, এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, এসএসসির উপদেষ্টা কমিটির প্রাক্তন প্রধান শান্তিপ্রসাদ সিনহা এবং এসএসসি-র প্রাক্তন সচিব অশোককুমার সাহাকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। সম্প্রতি তাঁরা জামিন চেয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন। বুধবার সিবিআইয়ের আইনজীবী ধীরাজ ত্রিবেদীর সওয়াল, সরকারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে বিচার প্রক্রিয়া শুরু করতে গেলে মুখ্যসচিবের অনুমোদন প্রয়োজন। মন্ত্রীদের ক্ষেত্রে রাজ্যপালের অনুমোদন লাগে। তিনি সেই অনুমোদন দিয়েছেন। কিন্তু মুখ্যসচিবের অবস্থান জানা যাচ্ছে না।
বিচারপতি বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ, গত ৭ মে মুখ্যসচিবের কাছে উত্তর চাওয়া হয়েছিল। এখন জুলাই মাস চলছে। উত্তর এখনও মেলেনি। ফলে আদালত অজুহাত না শুনে দ্রুত অবস্থান স্পষ্ট করতে চাইছে। কারণ, এর পরে যে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। প্রসঙ্গত, নিয়োগ মামলায় অভিযুক্ত পার্থের বিচারের মামলায় মুখ্যসচিব বিপি গোপালিকের অনুমোদন না মেলায় গত মে মাসে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘‘পার্থ চট্টোপাধ্যায় এখন আর মন্ত্রী নেই। অথচ তাঁর ক্ষমতা আমরা এজলাসে বসে টের পাচ্ছি। তিনি এতটাই প্রভাবশালী যে, তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তের অনুমোদন দিতে মুখ্যসচিবের কলম উঠছে না!’’