—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
কিডনি বিক্রি করতে দলে দলে দিল্লির একটি নামী বেসরকারি হাসপাতালে আসছেন মায়ানমারের যুবকেরা। ব্রিটেনের একটি সংবাদপত্রে এই খবর প্রকাশ হওয়ার পরেই নড়চড়ে বসল কেন্দ্র। এই বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। তদন্ত শুরু করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য এবং পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের অধীনস্থ সংস্থা ‘নটো’। সংস্থাটি মূলত অঙ্গ প্রতিস্থাপন নিয়ে কাজ করে থাকে।
ইতিমধ্যেই ‘নটো’র ডিরেক্টর অনিল কুমার দিল্লির স্বাস্থ্য সচিব এসবি কুমারকে একটি চিঠি দিয়ে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন। এর পাশাপাশি এক সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।
গত ৩ ডিসেম্বর ব্রিটেনের ‘দি টেলিগ্রাফ’ সংবাদপত্রে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনটিতে বলা হয় যে, টাকার জন্য মায়ানমারের যুবকদের একাংশ দিল্লির একটি বেসরকারি হাসপাতালে আসছেন। তাঁরা মায়ানমারেরই উচ্চবিত্ত পরিবারগুলির সদস্যদের কাছে কিডনি বিক্রি করছেন। মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
বর্তমান আইন অনুযায়ী, কেবল নিকটাত্মীয়রাই অঙ্গদান করতে পারেন। দূরসম্পর্কের কেউ অঙ্গদান করলে, তিনি যে অর্থ বা অন্য কিছুর বিনিময়ে অঙ্গদান করেননি, তা সুনিশ্চিত করতে হয়। মূলত বৈষম্য রুখতেই এই ব্যবস্থা। যদিও তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের প্রেক্ষিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, এমন কোনও কাজের সঙ্গে তাঁরা যুক্ত নন।