ফাইল চিত্র।
জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে (জেএনইউ) ছাত্র সংঘর্ষের ঘটনায় রিপোর্ট তলব করল কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় প্রশাসনের তরফে আজ এ কথা জানানো হয়েছে। রামনবমী উপলক্ষে আমিষ খাওয়াকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ে যে ছাত্র সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছিল, সে সম্পর্কে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রককে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। জেএনইউ-এর কাবেরী হস্টেল মেসে মাংস সরবরাহকারী আফজ়ল আহমেদের দাবি, রামনবমীতে হস্টেলে মাংস সরবরাহ করতে নিষেধ করেছিলেন কিছু ছাত্র।
রামনবমীর দিন আমিষ পরিবেশনকে কেন্দ্র করে রবিবার উত্তপ্ত হয়েছিল জেএনইউ। সঙ্ঘ পরিবারের ছাত্র সংগঠন এবিভিপির সদস্যদের সঙ্গে বাম ছাত্র সংগঠনের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তাতে আহত হয়েছিলেন অন্তত ২০ জন পড়ুয়া। ওই ঘটনার রিপোর্ট তলব করেছে। শিক্ষা মন্ত্রকের এক পদস্থ আধিকারিক বলেন, ‘‘প্রশাসনিক নিয়ম অনুযায়ী রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। রামনবমী উপলক্ষে ছাত্র সংঘর্ষ এবং ক্যাম্পাস অশান্ত হওয়ার ব্যাপারে জানাতে চাওয়া হয়েছে।’’
ওই সংঘর্ষের ঘটনায় গত কালই যুযুধান দুই পক্ষ পরস্পরের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছে। কাবেরী হস্টেলের মেসে মাংস সরবরাহকারী আফজ়ল সংবাদসংস্থা পিটিআই-কে জানিয়েছেন, যাঁরা তাঁকে ফোন করে মাংস দিতে নিষেধ করেছিলেন, তাঁরা জেএনইউ-এর ছাত্র। ওই পড়ুয়াদের তিনি চেনেন। তাঁর কথায়, ‘‘২৫-৩০ বছর ধরে জেএনইউয়ে মাংস সরবরাহ করি। এমন ঘটনা আগে কখনও ঘটেনি।’’ প্রতি বুধ, শুক্র ও রবিবার কাবেরী হস্টেলে আমিষ খাওয়া হয়। sওই দিনগুলিতে আফজ়ল মাংস ২৫০ থেকে ৩০০ কিলোগ্রাম করে মাংস সরবরাহ করেন বলে জানিয়েছেন আফজ়ল। তিনি এ-ও জানিয়েছেন, কাবেরী হস্টেলে তিনি মাংস নিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু গোলমাল দেখে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে এই আশঙ্কায় সেখান থেকে ফিরে আসেন।