প্রতীকী ছবি।
বৈদ্যুতিক গাড়ি ব্যবহারে উৎসাহ দিতে দেশ জুড়ে আরও বেশি করে ই-চার্জিং কিয়স্ক খোলার পরিকল্পনা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সোমবার কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহণমন্ত্রী নিতিন গডকড়ী জানিয়েছেন, দেশে প্রতি ৬৯ হাজার পেট্রল পাম্পের অন্তত একটিতে ই-চার্জিং পয়েন্ট বসানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দাবি, বিশ্বে ভারতীয় গাড়ি শিল্পকে নয়া উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারের লক্ষ্য পরিবেশের রক্ষায় বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যবহার বাড়ানোয় উৎসাহ দেওয়া। সেই লক্ষ্য পূরণে কেন্দ্র ইতিমধ্যে একাধিক পদক্ষেপ করেছে বলে জানিয়েছেন তিনি। গতকাল একটি ভার্চুয়াল বৈঠকে তিনি বলেন, “বাস্তুতন্ত্র রক্ষায় ব্যাটারিচালিত গাড়ির ব্যবহার বাড়ানো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়… ফলে ভবিষ্যতে মানুষজন যাতে আরও বেশি করে বৈদ্যুতিক গাড়ি ব্যবহার করেন সেই লক্ষ্যে দেশ জুড়ে প্রতি ৬৯ হাজার পেট্রল পাম্পের অন্তত একটিতে ই-চার্জিং পয়েন্ট বসানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।”
ই-চার্জিং কিয়স্কের সংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনা ছাড়াও ব্যাটারিচালিত গাড়ির দাম কমানোর লক্ষ্যেও পদক্ষেপ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন গডকড়ী। সম্প্রতি এই ধরনের গাড়ির জিএসটি ৫ শতাংশ কমানো হয়েছে। সেই সঙ্গে দুই এবং তিন চাকার বৈদ্যুতিক গাড়ির সামগ্রিক দামের সঙ্গে ব্যাটারির দাম যুক্ত করা হয়েছে। এর ফলে সব মিলিয়ে এই ধরনের গাড়ির দাম অন্তত ৩০ শতাংশ হ্রাস পাবে বলে আশা করছেন গডকড়ী।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের মুখোশ খুলতে নাগরোটার তথ্য আন্তর্জাতিক মহলকে দিল ভারত
আরও পড়ুন: কর্পোরেটরা ব্যাঙ্ক খুললে তছনছ হবে সব: রাজন
দেশে বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যবহার বাড়াতে সরকারের পাশাপাশি গাড়ি প্রস্তুতকারীদেরও আরও সক্রিয় অংশগ্রহণে গুরুত্ব দিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন, আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে ভারতকে বিশ্বের এক নম্বর গাড়ি প্রস্তুতকারক হাব হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্য রয়েছে সরকারের। এবং সেই লক্ষ্য পূরণে দেশের গাড়ি প্রস্তুতকারকদের প্রাথমিক ভাবে মুনাফার বদলে ভবিষ্যতের কথা মাথায় রাখা উচিত বলে মনে করেন তিনি। গডকড়ীর মতে, প্রাথমিক ভাবে বৈদ্যুতিক গাড়ি প্রস্তুতকারীদের দাম কমিয়ে ব্যবসা বাড়ানোর দিকে খেয়াল করা উচিত। যাতে ভবিষ্যতে সুফল পাওয়া যায়। তিনি বলেন, “গাড়ির দাম কমালে প্রাথমিক ভাবে হয়তো মুনাফা কম হবে। তবে আখেরে তাতে লাভই হবে। মার্কেটিংয়ের কৌশলও বলে, দাম কমিয়ে সংখ্যা বাড়ানোর দিকে মন দেওয়া উচিত।”