—প্রতীকী চিত্র।
কোনও কারণে ব্যাঙ্ক ডুবলেও যাতে সাধারণ মানুষ সেখানে তাঁদের গচ্ছিত অর্থের ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ফেরত পান, তা নিশ্চিত করতে সংসদে বাদল অধিবেশনে বিল আনছে অর্থ মন্ত্রক। ইতিমধ্যেই ওই ৫ লক্ষ টাকা বিমাকৃত করার কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। কিন্তু কোথা থেকে এবং কী ভাবে তা দেওয়া হবে, সেই রূপরেখাই স্পষ্ট হবে এই বিল পাশ হলে।
আগামী সপ্তাহ থেকে শুরু সংসদের অধিবেশনে কেন্দ্র ডিপোজ়িট ইনশিয়োরেন্স অ্যান্ড ক্রেডিট গ্যারান্টি কর্পোরেশন (ডিআইসিজিসি) সংশোধনী বিল পেশ করবে। লাটে ওঠা ব্যাঙ্ক টাকা ফেরত দিতে না-পারলে, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের অধীন ওই কর্পোরেশনের মাধ্যমে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ফেরত মিলবে।
একটি ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে এক জনের যত টাকাই থাকুক, গত বছর পর্যন্ত সেই ব্যাঙ্ক দেউলিয়া হলে এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত নিশ্চিত ভাবে ফেরত পাওয়া যেত। কিন্তু গত বছর পিএমসি ব্যাঙ্ক ডুবে যাওয়ার পরে কেন্দ্রীয় সরকার বিমা করা আমানতের পরিমাণ বাড়িয়ে ৫ লক্ষ টাকা করে। তার জন্য ব্যাঙ্কগুলিকেও এখন প্রতি ১০০ টাকা সঞ্চয়ে ১০ পয়সার বদলে ১২ পয়সা করে প্রিমিয়াম দিতে হচ্ছে। তবে গ্রাহকদের উপরে তার বোঝা চাপছে না। পিএমসি ব্যাঙ্কের পরেও ইয়েস ব্যাঙ্ক, লক্ষ্মীবিলাস ব্যাঙ্ক ভাঙনের মুখে এসে দাঁড়িয়েছে। সরকারের বক্তব্য, বিল পাশ হলে পিএমসি ব্যাঙ্ক ও বিভিন্ন লাটে ওঠা ব্যাঙ্কের গ্রাহকদের সুরাহা মিলবে।
অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন গত বাজেটেই এই বিল আনার কথা ঘোষণা করেছিলেন। অর্থ মন্ত্রকের বক্তব্য, যাঁরা ব্যাঙ্কে ২০-২৫ লক্ষ টাকা জমা রাখেন, তাঁরা ব্যাঙ্ক ডুবে গেলে মাত্র ৫ লক্ষ টাকা ফেরত পেয়ে বিশেষ খুশি হবেন না। কিন্তু স্বল্প অর্থ আমানতকারীরা অনেকটাই ফেরত পাবেন।