বিশেষজ্ঞ মহলের ধারণা, বুস্টার নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে তা কতটা জরুরি বা আদৌ জরুরি কি না কা জেনে নিতে চাইছে কেন্দ্র। প্রতীকী ছবি।
করোনাভাইরাসের নতুন রূপের মোকাবিলা করতে দেশে কি এখনই বুস্টার টিকা দরকার? উত্তর খুঁজতে কেন্দ্র একটি সমীক্ষা শুরু করেছে বলে খবর। সেই সমীক্ষায় জানা যাবে যাঁদের ইতিমধ্যেই দু’টি টিকা নেওয়া হয়ে গিয়েছে, তাঁদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে তৃতীয় টিকা নেওয়ার আদৌ প্রয়োজন আছে কি না।
কেন্দ্রের তরফে এই সমীক্ষার ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক কোনও ঘোষণা করা হয়নি। তবে একটি সংবাদ মাধ্যেমের খবর, ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের জৈবপ্রযুক্তি বিভাগের (ডিপার্টমেন্ট অব বায়োটেকনোলজি বা ডিবিটি) প্রথম সারির এক সংস্থা ট্রান্সলেশনাল হেল্থ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ইনস্টিটিউট (টিএইচএসটিআই)-এর অধীনে এ বিষয়ে সমীক্ষা শুরু হয়েছে। সমীক্ষায় যুক্ত করা হয়েছে একাধিক সংস্থাকে। আপাতত ভারতে দেওয়া তিনটি টিকা অর্থাৎ কোভিশিল্ড, কোভ্যাক্সিন এবং স্পুটনিক ভি-র কার্যকারিতাই খতিয়ে দেখা হবে সমীক্ষায়। এর মধ্যে যে কোনও একটি সংস্থার দু’টি টিকা নিয়েছেন যে ব্যক্তি, তাঁদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কোন পর্যায়ে রয়েছে তা নিয়েই পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হবে। তাতে অংশগ্রহণ করবেন তিন হাজার জন, যাঁদের দু’টি টিকা অন্তত ছ’মাস আগে নেওয়া হয়ে গিয়েছে।
গ্রাফিক— শৌভিক দেবনাথ
করোনাভাইরাসের নতুন রূপ ওমিক্রনের মোকাবিলা কী ভাবে করা হবে তা নিয়ে দু’দিন আগেই সংসদে প্রশ্ন করেছিলেন বিরোধীরা। কেন্দ্রের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল বুস্টার টিকা নিয়েও। বিশেষজ্ঞ মহলের ধারণা, বুস্টার নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে তা কতটা জরুরি বা আদৌ জরুরি কি না কা জেনে নিতে চাইছে কেন্দ্র। এ সংক্রান্ত সমীক্ষার সঙ্গে যুক্ত এক পদস্থ কর্তা ওই সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘‘আপাতত পুরো বিষয়টিই খাতায়কলমে জেনে নেওয়ার পর্যায়ে রয়েছে। আমরা বুঝতে চাইছি দু’টি টিকা নেওয়ার পর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ঈপ্সিত স্তরে কত দিন থাকছে। বিশেষ করে দ্বিতীয় টিকা নেওয়ার ছ’মাস পর এই ক্ষমতা কোন পর্যায়ে রয়েছে। তা কমতে শুরু করছে কি না। এই সব তথ্য হাতে এলে তবেই বোঝা যাবে বুস্টার টিকা প্রয়োজন রয়েছে কি না। উল্লেখ্য, করোনার নতুন রূপ ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা গত এক সপ্তাহে কিছুটা বেড়েছে দেশে। এই মুহূর্তে সংখ্যাটা প্রায় ৩০০-র কাছাকাছি।