—ফাইল চিত্র।
চলতি বছরে দেশের প্রাপ্তবয়স্ক জনসংখ্যার টিকাকারণ সেরে ফেলাই লক্ষ্য। টিকাকরণে গতি ফিরতেই সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা জমা দিয়ে জানিয়ে দিল কেন্দ্রীয় সরকার। বলা হয়েছে, প্রাপ্তবয়স্কদের টিকাকরণ সম্পূর্ণ করে ফেলতে কোনও কসুর রাখছে না সরকার। টিকা উৎপাদনকারী পাঁচটি সংস্থার সঙ্গে কথা চলছে। তাদের কাছ থেকে প্রায় ১৮৮ কোটি টিকা মিলতে পারে। তবে এখনও পর্যন্ত দেশের মোট প্রাপ্তবয়স্ক জনসংখ্যার ৫.৬ শতাংশই টিকা পেয়েছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র।
টিকাকরণ নিয়ে দীর্ঘদিন রাজ্যগুলির সঙ্গে টানাপড়েনের পর সম্প্রতি নিজের কাঁধেই দায়িত্ব তুলে নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু কোন পথে টিকাকরণ এগোচ্ছে, তার নীল নকশা চেয়েছিল শীর্ষ আদালত। শনিবার ৩৭৫ পাতার হলফনামা জমা দিয়ে তার জবাব দেয় কেন্দ্র। তাতে বলা হয়, ‘দেশে প্রাপ্তবয়স্ক (১৮ বছরের ঊর্ধ্বে) জনসংখ্যা ৯৩ থেকে ৯৪ কোটি। সকলের টিকাকরণ সম্পূর্ণ করতে ১৮৬ থেকে ১৮৮ কোটি টিকা লাগবে। এর মধ্যে ৫১ কোটি ৬০ লক্ষ টিকা ৩১ জুলাইয়ের মধ্যেই হাতে চলে আসবে। সে ক্ষেত্রে আর ১৩৫ কোটি টিকার প্রয়োজন পড়বে।’
করোনা রুখতে বর্তমানে ভারতে তিনটি টিকা ব্যবহৃত হচ্ছে। শুরুতে অক্সফোর্ড এবং সিরাম ইনস্টিটিটউটের তৈরি কোভিশিল্ড এবং ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন ব্যবহার করা হলেও, সম্প্রতি জরুরি ভিত্তিতে তাতে রাশিয়ার স্পুটনিক-ভি টিকা সংযুক্ত হয়েছে। এ ছাড়াও, দেশীয় ওষুধ সংস্থা বায়োলজিক্যাল ই এবং জাইডাস ক্যাডিলার টিকাও পরীক্ষার চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন পেলেই, সেগুলিও করোনা প্রতিরোধে কাজে লাগবে। এর মধ্যে জাইডাস ক্যাডিলার টিকা ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সিদের উপর প্রয়োগ করা হবে।
২৫ জুন পর্যন্ত গোটা দেশে ৩১ কোটি টিকা ব্যবহৃত হয়েছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র। আগামী ৩০ জুন কেন্দ্রের হলফনামা পরখ করে দেখবে শীর্ষ আদালত।