চণ্ডীগড়ে চা চক্রে অমরেন্দ্র সিংহ এবং নভজোৎ সিংহ সিধু। ফাইল চিত্র।
মুখ্যমন্ত্রী অমরেন্দ্র সিংহের নেতৃত্বেই আগামী বছর পঞ্জাবের বিধানসভা ভোটে লড়বে কংগ্রেস। বুধবার এ কথা জানান, পঞ্জাবের দায়িত্বপ্রাপ্ত এআইসিসি পর্যবেক্ষক হরিশ রাওয়ত। তিনি বলেন, ‘‘ক্যাপ্টেন অমরেন্দ্রই ২০২২ সালের বিধানসভা ভোটে পঞ্জাবে কংগ্রেসকে নেতৃত্ব দেবেন।’’
পঞ্জাব প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নভজোৎ সিংহ সিধুর ঘনিষ্ঠ বিধায়ক ও মন্ত্রীরা মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে অমরেন্দ্রকে সরানোর দাবি তুলেছিলেন। তাঁরা জানিয়েছিলেন, দিল্লি গিয়ে কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীর সঙ্গে দেখা করেও একই দাবি জানানো হবে। এই পরিস্থিতিতে হরিশের ঘোষণা ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ। কারণ, ঘোষণার আগে অমরেন্দ্র-বিরোধী চার মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন হরিশ।
পঞ্জাবের ৮০ জন কংগ্রেস বিধায়কের মধ্যে ৩১ জন মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ক্যাপ্টেন অমরেন্দ্রকে সরানোর দাবি তোলেন। চন্ডীগড়ে রাজ্যের মন্ত্রী তৃপত রাজেন্দ্র সিংহ বাজওয়ার বাড়িতে বৈঠকের পরে ওই বিধায়করা জানান, মুখ্যমন্ত্রীর উপরে তাঁদের আর আস্থা নেই। কারণ, তিনি কংগ্রেসের প্রতিশ্রুতিমতো কাজ করছেন না।
তৃপতের বাড়িতে আয়োজিত ওই বৈঠকে চরণজিৎ সিংহ চান্নি, সুখজিন্দর সিংহ সরকারিয়া, সুখজিন্দর সিংহ রণধাওয়ার মতো মন্ত্রীরাও ছিলেন। পঞ্জাব কংগ্রেসের অন্দরে এঁরা সকলেই অমরেন্দ্র-বিরোধী এবং অধুনা সিধু-ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। বুধবার তাঁরা দেহরাদূনে গিয়ে হরিশের সঙ্গে দেখা করেন।
সোমবারই সিধুর দুই উপদেষ্টা কাশ্মীর নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করায় সরব হয়েছিল অমরেন্দ্র শিবির। অমরেন্দ্রের ঘনিষ্ঠ ছ’জন মন্ত্রী-বিধায়ক সিধুর উপদেষ্টাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের দাবি তুলেছিলেন। তার পরেই ফের দু’গোষ্ঠীর কাজিয়া সামনে এসেছে।