অমিত শাহ এবং নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।
বিজেপি একার জোরে সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় এখন শরিক-নির্ভর । এমনকি, নরেন্দ্র মোদীর মুখে ‘এনডিএ সরকার’-এর কথা শোনা যাচ্ছে। সেই বাধ্যবাধকতা মেনে এ বার মন্ত্রিসভার বিভিন্ন কমিটিতে শরিক দলের মন্ত্রীদের খানিক জায়গা ছেড়ে দেওয়া হল। গত দশ বছরে মোদী সরকারের মন্ত্রিসভার শরিক দলের নেতারা এত জায়গা পাননি।
আজ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার আটটি কমিটি নতুন করে সাজানো হয়েছে। মন্ত্রিসভার নিয়োগ সংক্রান্ত কমিটিতে আগের মতোই প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ রয়েছেন। এই কমিটির হাতেই সরকারের সমস্ত নিয়োগের সিদ্ধান্ত। বেকারত্বের সমস্যার কথা মাথায় রেখে লগ্নি-বৃদ্ধি এবং কর্মসংস্থান, দক্ষতাও জীবিকা বিষয়ক দু’টি কমিটি গঠন হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সব কমিটিতেই রয়েছেন।
তৃতীয় মোদী সরকারের মন্ত্রিসভায় প্রতিরক্ষা, বিদেশ, অর্থ, স্বরাষ্ট্র— বিজেপি হাতে রেখেছে। প্রধানমন্ত্রী ও এই চার মন্ত্রকের মন্ত্রীদের নিয়ে তৈরি নিরাপত্তা বিষয়ক কমিটিতে কোনও শরিক দল জায়গা পায়নি। মন্ত্রিসভার রাজনৈতিক বিষয়ক কমিটিতে তেলুগু দেশম পার্টির মন্ত্রী কে রামমোহন নায়ডু ও বিহারের হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চার মন্ত্রী জিতনরাম মাঝিঁ জায়গা পেয়েছেন। কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্ক, গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক-রাজনৈতিক বিষয়ে এখানে সিদ্ধান্ত হয়। আর্থিক বিষয়ক কমিটিতে জেডিইউ-র রাজীব রঞ্জন সিংহ, জেডিএসের এইচ ডি কুমারস্বামীকে রাখা হয়েছে।