অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। ফাইল চিত্র।
অর্থনীতিবিদদের অনেকেই পরামর্শ দিয়েছিলেন, কোভিডের ধাক্কায় হোঁচট খাওয়া অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে প্রয়োজনে নোট ছাপিয়ে মোদী সরকার গরিব মানুষের হাতে নগদ টাকা তুলে দিক। কিন্তু সংসদে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন আজ জানালেন, নোট ছাপানোর পরিকল্পনা সরকারের নেই।
কোভিডের প্রথম ধাক্কাতেই আর্থিক বৃদ্ধি তলানিতে ঠেকেছিল। গত অর্থ বছরে জিডিপি-র ৭.৩ শতাংশ সঙ্কোচন হয়েছে। কিন্তু লোকসভায় তৃণমূল সাংসদ মালা রায়ের প্রশ্নের উত্তরে সীতারামন জানান, ‘অর্থনীতির ভিত মজবুত। ধাপে ধাপে লকডাউন তুলে নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আত্মনির্ভর ভারত প্রকল্পের ফলে অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে।’ নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো অনেকেই অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে সুপারিশ করেছিলেন, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক বাড়তি নোট ছাপাক। সরকার তা গরিব মানুষ, ছোট-মাঝারি শিল্পের হাতে তুলে দিলে বাজারে কেনাকাটা বাড়বে। কিন্তু সরকারের মতে, হাতে টাকা গেলে তা সঞ্চয়ের খাতায় চলে যাবে। তবে অর্থমন্ত্রী আজ সমস্ত মন্ত্রক, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাকে নির্দেশ দিয়েছেন, ৪৫ দিনের মধ্যে ছোট-মাঝারি শিল্পকে বকেয়া মিটিয়ে দিতে হবে।
মুডি’জ অ্যানালিটিকস-ও আজ জানিয়েছে, দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিশেষত ছোট-মাঝারি শিল্পই জোর ধাক্কা খাবে। আদিত্য বিড়লা গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান কুমার মঙ্গলম বিড়লা জানান, কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের ফলে আর্থিক বৃদ্ধি নিয়ে পর্যালোচনা দরকার।