ফাইল চিত্র।
নিটের প্রশ্নফাঁসকাণ্ডে এ বার তল্লাশির পরিধি আরও বাড়াতে চলেছে সিবিআই। এই ঘটনায় যাঁরা এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার হয়েছেন, এ বার তাঁদের আত্মীয়দের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও খতিয়ে দেখা হবে বলে সিবিআই সূত্রে খবর। ধৃতদের আত্মীয়দের আয় কেমন, কোথায় কত টাকা লেনদেন হয়েছে— সব কিছু কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটির নজরদারির আওতায় থাকবে বলে সূত্রের খবর।
নিটের প্রশ্নফাঁসকাণ্ডে ইতিমধ্যেই দেশ জুড়ে গ্রেফতারির সংখ্যা ৩৩। তার মধ্যে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন সাত জন। ধৃতদের জেরা করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি। সিবিআই সূত্রে খবর, ধৃতদের জেরা করে এই ঘটনার ‘মূল চক্রী’ সঞ্জীব মুখিয়ার হদিস পাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। তাঁর চক্রের জাল কোথায়, কত দূর বিস্তৃত ছিল তারও একটা স্পষ্ট ধারণা পেতে চাইছেন তদন্তকারীরা। গুজরাতের গোধরার এক স্কুল থেকে গ্রেফতার হয়েছেন এক জন। মহারাষ্ট্রের লাতুরে প্রশ্নফাঁসকাণ্ডের মামলাও নিজেদের হাতে নিয়েছে সিবিআই। বিহারের বেউর জেলে বন্দি ১৩ অভিযুক্তকে জেরা করছে তদন্তকারী সংস্থাটি।
অন্য দিকে, হাজারিবাগের ওয়েসিস স্কুলের অধ্যক্ষ এশানুল হকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর। আরও দুই অভিযুক্তেরও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, লেনদেন সম্পর্কে তথ্য জোগাড় করা হচ্ছে। এ ছাড়াও গোধরার যে কেন্দ্রে নিট পরীক্ষা হয়েছিল, সেই কেন্দ্রে যাঁরা পরীক্ষা দিয়েছিলেন, তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করছেন তদন্তকারীরা।
সিবিআই সূত্রের দাবি, ধৃতদের জেরা করে দু’জনের নাম উঠে এসেছে এই ঘটনায়। তাঁরা হলেন সঞ্জীব মুখিয়া এবং সিকন্দর যাদবেন্দু। হাজারিবাগের স্কুলের অধ্যক্ষ এবং সহ-অধ্যক্ষকে জেরা করে জানার চেষ্টা চলছে যে, তাঁরা সঞ্জীব মুখিয়ার গ্যাংয়ের সঙ্গে জড়িয়ে ছিলেন কি না। সিকন্দরকে বিহার পুলিশ এবং আর্থিক দুর্নীতি দমন শাখা গ্রেফতার করেছে আগেই। কিন্তু সঞ্জীবের এখনও হদিস পায়নি পুলিশ।