Hathras Stampede Incident

আবার খবরে সেই হাথরস, ধর্মীয় অনুষ্ঠানের জমায়েতে তুমুল হুড়োহুড়ি, পদপিষ্ট হয়ে মৃত অন্তত ১২১

হাথরসের রতিভানপুরে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান চলছিল মঙ্গলবার। অনুষ্ঠান শেষ হতেই হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। ওই অনুষ্ঠানে বিপুল সংখ্যায় মানুষ জমায়েত হওয়ায় পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হয়ে ওঠে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৪ ১৬:২২
Share:

হাসপাতালের সামনে মৃতদের দেহ রাখা হয়েছে। ছবি: এক্স।

খবরের শিরোনামে আবারও সেই হাথরস। উত্তরপ্রদেশের এই শহরে এ বার এক ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হল অনেকের। ২০২০ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর সেই হাথরসের এক দলিত তরুণীর গণধর্ষণের ঘটনায় উত্তাল হয়েছিল গোটা দেশ। সেই হাথরসই আবার পদপিষ্টের ঘটনায় গোটা দেশে আলোড়ন ফেলে দিয়েছে। আর তার সঙ্গে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এই ঘটনায় শতাধিক পুণ্যার্থীর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার সকাল পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ১২১। মৃতের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে

Advertisement

জানা গিয়েছে, রতিভানপুরে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান চলছিল মঙ্গলবার। অনুষ্ঠান শেষ হতেই একটা বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। ওই অনুষ্ঠানে বিপুল সংখ্যক পুণ্যার্থী জমায়েত হওয়ায় পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হয়ে ওঠে। পদপিষ্টের পরিস্থিতি তৈরি হয়। আর তাতে‌ই বেশ কয়েক জনের মৃত্যু আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এটার পুলিশ সুপার রাজেশ কুমার সিংহ বলেন, “হাথরসের মুঘলাগড়ি গ্রামে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান চলছিল। সেই সময় এই দুর্ঘটনা ঘটে। কেন এবং কী ভাবে এই ঘটনা ঘটল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে খবর, শিশু এবং মহিলা-সহ ১৫ জনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে এটা মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, একটি প্রার্থনা সভার আয়োজন করা হয়েছিল মুঘলাগড়ি গ্রামে। একসঙ্গে প্রচুর মানুষ জমায়েত করেছিলেন ওই সভায়। কী কারণে হুড়োহুড়ি পড়ে গিয়েছিল, তা জানার চেষ্টা চলছে। দেহগুলিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ঘটনাটির খোঁজখবর নিয়েছেন। তিনি ইতিমধ্যেই একটি তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন। সেই তদন্ত কমিটির নেতৃত্বে থাকবেন আগরার অতিরিক্ত ডিজি। ঘটনার খবর পেয়ে মুঘলাগড়ি গ্রামের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী লক্ষ্মীনারায়ণ চৌধরী এবং সন্দীপ সিংহ। রাজ্য পুলিশের ডিজিও ঘটনাস্থলে গিয়েছেন।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, সিকন্দরারাউ হাসপাতালে আহতদের নিয়ে গেলেও সেখানে চিকিৎসা করার মতো পর্যাপ্ত চিকিৎসক ছিল না। হাসপাতালে এক জন চিকিৎসক ছিলেন। চিকিৎসার গাফিলতিরও অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা। তাঁদের অভিযোগ, ঘটনার পর দেড় ঘণ্টা কেটে গেলেও প্রশাসনের কোনও আধিকারিক আসেননি। পুলিশের ভূমিকা নিয়েও ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তাঁরা।

২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে এই হাথরসই গোটা দেশে আলোড়ন ফেলেছিল। বুলগড়ি গ্রামে মায়ের সঙ্গে মাঠে কাজ করছিলেন এক দলিত তরুণী। মায়ের থেকে ১০০ মিটার দূরেই ক্ষেতে কাজ করছিলেন তিনি। কন্যার চিৎকারের আওয়াজ শুনে তরুণীর মা ছুটে যান। সেখানে যেতেই দেখেন তাঁর কন্যা রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। জিভ কেটে নেওয়া হয়েছে। পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ না নেওয়ারও অভিযোগ ওঠে। তরুণীকে গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে জেএনএমসি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে ১৪ দিন ভর্তি ছিলেন। সেখানেই তাঁর বয়ান রেকর্ড করা হয়। ২৯ সেপ্টেম্বর তরুণীর মৃত্যু হয়। পরিবারকে না জানিয়ে রাতারাতি ওই তরুণীর দেহ সৎকার করারও অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই উত্তাল হয় গোটা দেশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement