Cyber fraud

আমেরিকার নাগরিককে বোকা বানিয়ে তিন কোটি গায়েব, পাঁচ জনের বিরুদ্ধে মামলা সিবিআইয়ের

নিজেদের মাইক্রোসফটের কর্মী বলে পরিচয় দিয়ে আমেরিকার বাসিন্দা এক জনের কাছ থেকে ৪ লক্ষ আমেরিকান ডলার প্রতারণার অভিযোগ দিল্লি এবং কানপুরের পাঁচ বাসিন্দার বিরুদ্ধে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৩ ১৭:৫২
Share:

— প্রতীকী ছবি।

দিল্লিতে বসে সুদূর আমেরিকার এক বয়স্ক মহিলার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সাফ করে দেওয়ার অভিযোগে পাঁচ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে তদন্তে নামল সিবিআই। আমেরিকার ‘ফেডেরাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন’ (এফবিআই) সিবিআইকে প্রতারণার কারবারের কথা জানায়। তার পরেই দিল্লি এবং কানপুরের পাঁচ বাসিন্দার বিরুদ্ধে তদন্তে নামে কেন্দ্রীয় এজেন্সি।

Advertisement

আমেরিকার অবসরপ্রাপ্ত মহিলা লিসা রথ। সিবিআই সূত্রে খবর, নিজেদের মাইক্রোসফটের কর্মী হিসাবে পরিচয় দিয়ে তাঁর ল্যাপটপটি হ্যাক করেন, দিল্লির বাসিন্দা প্রফুল গুপ্ত, সরিতা গুপ্ত, কুনাল আলমাদি, গৌরব পাহওয়া এবং কানপুরের বাসিন্দা ঋষভ দীক্ষিত। তার পর ফাঁদে ফেলে একাধিক বার লিসার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা বার করে নেওয়া হয়। সব মিলিয়ে ৪ লক্ষ আমেরিকান ডলার প্রতারণা করা হয়। শনিবারের হিসাবে ভারতীয় মুদ্রায় যার মূল্য ৩ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকা।

সিবিআইয়ের দায়ের করা এফআইআরে বলা হয়েছে, প্রতারকেরা প্রথমে লিসার ল্যাপটপটি হ্যাক করেন। তার পর তাঁরা যোগাযোগ করেন লিসার সঙ্গে। একটি নির্দিষ্ট ফোন নম্বর দিয়ে বলা হয়, যোগাযোগ করতে। জানানো হয়, এটাই মাইক্রোসফটের পক্ষ থেকে দায়িত্বপ্রাপ্তের ফোন নম্বর। পরিষেবা পেতে এই নম্বরে ফোন করেন লিসা। তাঁকে বলা হয় একটি অ্যাকাউন্টে ডলার পাঠাতে। যদিও সেই অর্থের পরিমাণ এতই কম যে লিসার সন্দেহ হয়নি। লিসা সেই নির্দেশমতো ডলার পাঠিয়ে দেন। আর তাতেই লিসার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সমস্ত তথ্য পেয়ে যান প্রতারকেরা। রাতারাতি সেই অ্যাকাউন্ট থেকে সরিয়ে নেওয়া হয় ৩ লক্ষ আমেরিকান ডলার। শনিবার ভারতীয় মুদ্রার হিসাবে তা ২ কোটি ৪৮ লক্ষ টাকা। তার পর লিসাকে আরও একটি অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠাতে বলা হয়। লিসা সেই মতো আবার টাকা পাঠান। সেই পরিমাণও সামান্য। এ বারেও অন্য অ্যাকাউন্ট থেকে আরও কিছু ডলার গায়েব করে দেওয়া হয়। সব মিলিয়ে খোয়া যায় ৪ লক্ষ আমেরিকান ডলার। শনিবারের হিসাবে ভারতীয় মুদ্রায় যার মূল্য ৩ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকা।

Advertisement

তখন লিসা বুঝতে পারেন, তিনি প্রতারকদের খপ্পরে পড়েছেন। সঙ্গে সঙ্গে তিনি পুলিশে অভিযোগ জানান। পুলিশের হাত থেকে তদন্ত যায় এফবিআইয়ের কাছে। এফবিআই খতিয়ে দেখে বুঝতে পারে গোটা ঘটনাটি ঘটেছে ভারত থেকে। তারা যোগাযোগ করে সিবিআইয়ের সঙ্গে। এর পর এফআইআর দায়ের করে তদন্তে নামে সিবিআই।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement