বিআরএস নেত্রী কে কবিতা। —ফাইল চিত্র।
তেলঙ্গানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের কন্যা তথা ভারত রাষ্ট্র সমিতি (বিআরএস)-র নেত্রী কে কবিতাকে তিহাড় জেলের ভিতর থেকে এ বার গ্রেফতার করল সিবিআই। এর আগে জেলের ভিতরেই কবিতাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে কেন্দ্রীয় সংস্থা। তার পর বৃহস্পতিবার তাঁকে গ্রেফতার করা হল। দিল্লির আবগারি ‘দুর্নীতি’ মামলার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত একটি আর্থিক তছরুপের অভিযোগে কবিতাকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। ওই মামলাতেই এর আগে ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন তিনি। বর্তমানে তিহাড়ে জেল হেফাজতে রয়েছেন।
দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় গত ১৫ মার্চ দুপুরে কবিতার হায়দরাবাদের বাড়িতে হানা দেয় ইডি। চলে তল্লাশি এবং জিজ্ঞাসাবাদ। তার পর বিকেলে বাড়ি থেকেই তাঁকে গ্রেফতার করে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয়। ইডির গ্রেফতারি ‘বেআইনি’ বলে দাবি করেন কবিতা। গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থও হয়েছিলেন তিনি। তবে শীর্ষ আদালত তাঁর আবেদনে সাড়া দেয়নি। নিম্ন আদালতে জামিনের আবেদন জানানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল তাঁকে।
এর পর নিম্ন আদালতে জামিনের আবেদন জানিয়েছিলেন কবিতা। তাঁর ১৬ বছরের পুত্র পরীক্ষা দেবে। এই সময়ে তার মায়ের সাহায্য প্রয়োজন। নিম্ন আদালতে এই যুক্তি দিয়েই অন্তর্বর্তিকালীন জামিন চেয়েছিলেন। কিন্তু দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত তাঁর অন্তর্বর্তী জামিনের আর্জি খারিজ করে দিয়েছে। গত মঙ্গলবার কবিতাকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। তার মাঝেই আবার তাঁকে গ্রেফতার করল সিবিআই।
আবগারি ‘দুর্নীতি’ মামলায় কিছু দিন আগে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়ালকেও গ্রেফতার করেছে ইডি। তিনি মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেননি। ফলে পদে থাকাকালীন গ্রেফতার হওয়া দেশের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী তিনিই। বর্তমানে তাঁরও ঠিকানা তিহাড় জেল।
গত ডিসেম্বরে আবগারি মামলায় ধৃত মণীশ সিসৌদিয়ার ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত অমিত আরোরা নামে এক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। তাঁর সূত্রেই কবিতার নাম উঠে আসে। মামলার চার্জশিটে ইডির অভিযোগ ছিল, দিল্লির তৎকালীন উপমুখ্যমন্ত্রী তথা মদ সংক্রান্ত নীতির ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী সিসৌদিয়া আবগারি নীতির পরিবর্তন ঘটিয়ে দক্ষিণ ভারতের যে ব্যবসায়িক সংস্থাকে সুবিধা পাইয়ে দিয়েছিলেন, কবিতা তার ৬৫ শতাংশের মালিক।
কিছু দিন আগে বিশেষ আদালত থেকে কবিতাকে জেলের ভিতরে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি পেয়েছিল সিবিআই। গত শনিবার কিছু তথ্য এবং হোয়াট্সঅ্যাপ চ্যাট নিয়ে প্রশ্ন করা হয় তাঁকে। তার পর বৃহস্পতিবার তাঁকে গ্রেফতার করা হল।