ভাস্কর রেড্ডি-সহ সব মিলিয়ে এই মামলায় এখনও পর্যন্ত পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত।
প্রাক্তন সাংসদ ওয়াইএস বিবেকানন্দ রেড্ডিকে খুনে অভিযুক্ত অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ওয়াইএস জগন্মোহন রেড্ডির কাকা ওয়াইএস ভাস্কর রেড্ডিকে গ্রেফতার করল সিবিআই। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাটির দাবি, কডপা এলাকায় নিজের প্রভাব বিস্তার করতেই ছেলে অবিনাশ রেড্ডির সঙ্গে এই খুনের ছক কষেছিলেন প্রাক্তন সাংসদ। রবিবার সকালে ভাস্করের গ্রেফতারির পর সব মিলিয়ে এই মামলায় এখনও পর্যন্ত পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, অন্ধ্রের প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী ওয়াইএস রাজাশেখর রেড্ডির ভাই বিবেকানন্দকে খুনের অভিযোগে ধৃত ভাস্করকে রবিবার হায়দরাবাদে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। রবিবারই তাঁকে সিবিআই আদালতে হাজির করানো হতে পারে। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২, ১২০বি এবং ২০১ ধারায় খুন, ষড়ষন্ত্র এবং প্রমাণ নষ্টের অভিযোগ এনেছে সিবিআই।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, ২০১৯ সালে রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের কয়েক সপ্তাহ আগে ১৫ মার্চের রাতে কডপা জেলার পুলিবেন্দুলা কেন্দ্র এলাকায় নিজের বাড়িতে ৬৮ বছরের বিবেকানন্দর রক্তাক্ত দেহ মিলেছিল। তাঁর দেহে একাধিক ছুরির আঘাত ছিল। সে সময় জগন অভিযোগ করেছিলেন, রাজ্যের তৎকালীন ক্ষমতাসীন দল তেলুগু দেশম পার্টির নেতা তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নায়ডুর নেতৃত্বে এই খুনের ছক কষা হয়েছিল। সে সময় সিবিআই তদন্তেরও দাবি করেছিলেন জগন।
এই খুনের মামলার তদন্তে অন্ধ্রপ্রদেশ পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করা হলেও ২০২০ সালের জুলাইয়ে সিবিআইকে তার দায়িত্বভার দিয়েছিল চন্দ্রবাবু সরকার। পরের বছর ২৬ অক্টোবর এই মামলার চার্জশিট দেয় সিবিআই। এর পর গত বছরের ৩১ জানুয়ারি অতিরিক্ত চার্জশিটও জমা দেয় তারা।
চার্জশিটে সিবিআইয়ের দাবি ছিল, কডপা লোকসভা কেন্দ্রের টিকিটের দাবিদার ছিলেন ভাস্কর। এই কেন্দ্রে অবিনাশ রেড্ডির বদলে তাঁর টিকিট না জুটলে তা ওয়াইএস শর্মিলা (জগনের বোন) অথবা ওয়াইএস বিজয়াম্মা (জগনের মা) যাতে টিকিট পান, সে চেষ্টা করেছিলেন তিনি। ওই কেন্দ্রে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের জন্যই তিনি এই খুন করেন বলেও দাবি সিবিআইয়ের।