দু’বছর আগে ‘মৃত’ যুবককে দেখে যারপরনাই হতবাক তাঁর পরিবারের সদস্যরা। প্রতীকী ছবি।
কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার পর মধ্যপ্রদেশের ধার জেলার এক যুবককে মৃত ঘোষণা করেছিলেন গুজরাতের একটি হাসপাতালের চিকিৎসকেরা। হাসপাতাল থেকে তাঁর দেহ নিয়ে গিয়ে শেষকৃত্যও করে ফেলেছেন পরিবারের সদস্যেরা। তবে প্রায় দু’বছর পর শনিবার সেই ‘মৃত’ যুবকই ঘরে ফিরে এসেছেন। এই দু’বছর তিনি কোথায় ছিলেন? আসল ঘটনাই বা কী? এ সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। ‘মৃতের’ বয়ান শোনার পরেই গোটা ঘটনাটি স্পষ্ট হবে বলে মত তাদের।
রবিবার সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খুলেছেন কমলেশ পটিদার নামে ওই ৩৫ বছরের যুবকের তুতো ভাই মুকেশ পটিদার। তিনি জানিয়েছেন, শনিবার সকাল ৬টা নাগাদ এক আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়ে ওঠেন কমলেশ। দু’বছর পর তাঁকে জীবিত অবস্থায় দেখে যারপরনাই হতবাক তাঁর পরিবারের সদস্যরা।
কনওয়ান থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক রাম সিংহ রাঠৌর জানিয়েছেন, ২০২১ সালের কোভিডে সংক্রমিত হওয়ায় গুজরাতের বরোদায় একটি হাসপাতালে কমলেশকে ভর্তি করানো হয়েছিল বলে জানিয়েছেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছিল ওই হাসপাতাল। এর পর হাসপাতাল থেকে তাঁর দেহ নিয়ে যান বাড়ির লোকজন। কনওয়ান থানা এলাকার গ্রামের বাড়িতে তাঁর শেষকৃত্যও হয়ে গিয়েছে। মুকেশ বলেন, ‘‘এখন সেই ‘মৃত’ দাদা বাড়ি ফিরে এসেছেন। তবে গত দু’বছর তিনি কোথায় ছিলেন বা কী করতেন, সে সম্পর্কে কিছুই জানাননি।’’ সে সব জানার জন্য তদন্তে নেমেছে পুলিশ। কমলেশকে জিজ্ঞাসাবাদের পরেই এ ‘রহস্যের’ সমাধা হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ আধিকারিকেরা।