আতিকের মৃত্যুর পর জোর চর্চা চলছে গুড্ডু মুসলিমকে নিয়ে। ছবি: সংগৃহীত।
খুন হওয়ার ঠিক আগে গুড্ডু মুসলিমের নাম শোনা গিয়েছিল আতিকের মুখে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে আতিক বলেন, “আসল কথা হল গুড্ডু মুসলিম…”। এই কথার মাঝেই পুলিশের নিরাপত্তা ভেঙে ঢুকে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে আতিকের মাথা লক্ষ্য করে পর পর গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। ফলে গুড্ডু মুসলিম নিয়ে কী বলতে চেয়েছিলেন আতিক, সে তথ্য অধরাই থেকে যায়। আতিকের শেষ ক’টি শব্দের উত্তর খুঁজছে পুলিশ। একই সঙ্গে খোঁজা হচ্ছে গুড্ডু মুসলিমকেও।
কিন্তু কে এই গুড্ডু? আতিক-আশরফের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কই বা কী?
উমেশ পাল হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্তদের মধ্যে অনেকেরই নাম প্রকাশ্যে এসেছে। পুলিশের ‘এনকাউন্টারে’ এই ঘটনায় জড়িত দুই অভিযুক্তের মৃত্যু হয়েছে ইতিমধ্যেই। তাঁরা হলেন আতিকের পুত্র আসাদ এবং তাঁর সঙ্গী গুলাম। গ্রেফতার হয়েছেন বেশ কয়েক জন। তাঁদের মধ্যে শার্প শুটারও রয়েছেন। তবে আতিকের মৃত্যুর পর পরই যাঁর নাম নিয়ে বেশি চর্চা চলছে তিনি গুড্ডু মুসলিম। এই গুড্ডুই উমেশ পাল হত্যাকাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রয়াগরাজে নিজের বাড়ির সামনে খুন হয়েছিলেন বিধায়ক রাজু পাল খুনের একমাত্র সাক্ষী উমেশ পাল। পুলিশ সূত্রে খবর, সে দিনের ঘটনায় এই গুড্ডুই পর পর বোমা ছুড়েছিলেন। বোমাবাজিতে দক্ষ গুড্ডুর আর এক নাম ‘বোমাবাজ গুড্ডু’।
গুড্ডুর পরিচিতদের দাবি, শৈশব থেকেই দুরন্ত ছিলেন তিনি। তৎকালীন ইলাহাবাদে (বর্তমান প্রয়াগরাজ) জন্ম গুড্ডুর। স্কুলজীবন থেকেই অপরাধ জগতের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছিলেন তিনি। লুট, তোলাবাজির মতো ঘটনায় জড়িয়ে পড়েছিলেন। এই সময় বহু দুষ্কৃতীর সংস্পর্শে আসেন তিনি। সেই সময় থেকেই বোমা বাঁধতে শুরু করেন গুড্ডু। প্রতি দিন কোনও না কোনও অপরাধের সঙ্গে তাঁর নাম জড়িয়ে যাওয়ায় পরিবারের সদস্যরা পড়াশোনার জন্য তাঁকে লখনউয়ে পাঠিয়ে দেন। কিন্তু এখান থেকে আরও বড় অপরাধে হাত পাকানো শুরু হয় তাঁর। গুড্ডুর ঘনিষ্ঠদের দাবি, লখনউয়ে এসে দুই গ্যাংস্টার অভয় সিংহ এবং ধনঞ্জয় সিংহের সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁর। সেই সময় লখনউ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছিলেন গুড্ডু। ১৯৯৭ সালে একটি মিশনারি স্কুলের শিক্ষককে খুন করে খবরের শিরোনামে আসেন তিনি। পরে আতিক আহমেদ গ্যাংয়ে সামিল হন।