কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। —ফাইল চিত্র।
আয়োজক দেশ ভারত। বুধবার জি২০-র ভার্চুয়াল বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন কানাডার প্রেসিডেন্ট জাস্টিন ট্রুডো। যোগ দিচ্ছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও। ভারত-কানাডা চলতি সংঘাতের আবহে ভার্চুয়াল বৈঠকে ট্রুডোর যোগদানকে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
গত জুন মাসে খলিস্তানপন্থী সংগঠন ‘খলিস্তান টাইগার ফোর্স’ (কেটিএফ)-এর প্রধান তথা কানাডার সারের গুরু নানক শিখ গুরুদ্বার সাহিবের প্রধান নিজ্জরকে গুরুদ্বার চত্বরের মধ্যেই গুলি করে খুন করা হয়। সেই ঘটনার তদন্তে ভারতের গুপ্তচর সংস্থার সম্ভাব্য ভূমিকা ছিল বলে কানাডার পার্লামেন্টের জরুরি অধিবেশনে গত ১৮ সেপ্টেম্বর অভিযোগ করেছিলেন ট্রুডো। কানাডার তদন্তকারী সংস্থাগুলি এ বিষয়ে আরও বিশদে তদন্ত করছে বলেও জানান তিনি। ট্রুডোর এই দাবিকে ‘অবাস্তব’ এবং ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে উড়িয়ে দেয় ভারত। এই ঘটনাকে ঘিরে তলানিতে নামে ভারত-কানাডা সম্পর্ক। তার পর এই প্রথম ভারতের ডাকা কোনও বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন ট্রুডো। ট্রুডোর সচিবালয়ের তরফে তাঁর উপস্থিতির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
তবে ট্রুডো উপস্থিত থাকলেও সেপ্টেম্বরে দিল্লিতে হওয়া বৈঠকের মতোই ভার্চুয়াল বৈঠকেও যোগ দিচ্ছেন না চিনের প্রেসিডেন্ট জিনপিং। তাঁর পরিবর্তে বৈঠকে যোগ দেবেন চিনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং। তবে সেপ্টেম্বরের বৈঠকে না থাকলেও বুধবারের বৈঠকে যোগ দেওয়ার কথা ভ্লাদিমির পুতিনের।
গত সেপ্টেম্বরে নয়াদিল্লিতে হওয়া জি২০ বৈঠকে উপস্থিত হয়েছিলেন বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রনেতারা। ৯ এবং ১০ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ভারত মণ্ডপমে হওয়া বৈঠকের শেষে চলতি আন্তর্জাতিক সঙ্কটে সদস্য দেশগুলির মধ্যে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠায় সাফল্য পেয়েছিল ভারত। বৈঠকের শেষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছিলেন, নভেম্বরের শেষে সদস্য দেশগুলিকে নিয়ে একটি ভার্চুয়াল বৈঠক হবে। সেই মতোই বুধবার বসতে চলেছে এই বৈঠক।
মঙ্গলবার ভারতের শেরপা তথা দিল্লি ঘোষণাপত্রে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার অন্যতম কারিগর অমিতাভ কান্ত জানান, ভার্চুয়াল বৈঠকটির মাধ্যমে জি২০-র সভাপতি হিসাবে এক বছরের মেয়াদ শেষ করবে ভারত। পরবর্তী আয়োজক দেশ হিসাবে দায়িত্ব তুলে দেওয়া হবে ব্রাজ়িলের হাতে। বুধবার প্রধানমন্ত্রী মোদীর বক্তব্য দিয়ে শুরু হবে ভার্চুয়াল অধিবেশন। সেপ্টেম্বরের বৈঠকে আলোচ্য বিষয়গুলি নিয়ে কী কী অগ্রগতি হল, তা-ও থাকবে আলোচনার বিষয়বস্তুর মধ্যে।