Jagadhatri Puja 2023

জগদ্ধাত্রী পুজোয় জনতার ঢল কৃষ্ণনগরে, ভাসানেও জনপ্লাবনের সম্ভাবনা, প্রস্তুতি নিচ্ছে প্রশাসন

পুজোর দিন থেকে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হলেও ভাসানের দিনগুলো নিয়ে অতিরিক্ত সতর্ক পুলিশ। সেই মতো নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে কৃষ্ণনগর শহরকে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কৃষ্ণনগর শেষ আপডেট: ২২ নভেম্বর ২০২৩ ১৩:০১
Share:

এ বারের জগদ্ধাত্রী পুজোয় ‘রেকর্ড’ জনজোয়ার দেখল কৃষ্ণনগর শহর। কয়েকশো পুজোর মধ্যে বাছা বাছা দশটি পুজোর ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতেই হিমশিম খেতে হয়েছে পুলিশকে। মঙ্গলবার দুপুর থেকেই আনাগোনা বাড়তে থাকে দর্শনার্থীদের। সন্ধ্যা নামতেই বাঁধভাঙা জলোচ্ছ্বাসের মতো জনতার ঢল আছড়ে পড়ে কৃষ্ণনগর শহরের মণ্ডপ থেকে মণ্ডপে। যা দেখে উদ্যোক্তারা দাবি করছেন, এ বছর শহরের জগদ্ধাত্রী পুজোর ভিড় অতীতের সমস্ত রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। বুধবার এবং বৃহস্পতিবার জগদ্ধাত্রী পুজোর ভাসান ঘিরে বাঁধ ভাঙা উচ্ছ্বাসে মাততে চলেছে শহরবাসী। বুধবার সকালে ঘট বিসর্জন দিয়ে শুরু, সন্ধ্যা থেকে রাতভর প্রতিমা নিরঞ্জনে ব্যাপক লোক সমাগমের সম্ভাবনা কৃষ্ণনগরের হাই স্ট্রিট চত্বর থেকে রাজবাড়ি পর্যন্ত। বিসর্জনের সময় কোনও রকম অশান্তি এড়াতে তৎপর পুলিশ প্রশাসন। পুজোর দিন থেকে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হলেও ভাসানের দিনগুলি নিয়ে অতিরিক্ত সতর্ক পুলিশ। সেই মতো নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে কৃষ্ণনগর শহরকে। নাগরিক নিরাপত্তার কথা ভেবে মোতায়েন করা হয়েছে বাড়তি বাহিনী। থাকছে সিসি ক্যামেরা। ড্রোন দিয়ে চালানো হবে নজরদারি। পুলিশ সূত্রে খবর, অশান্তির আশঙ্কায় রাতভর বেশ কয়েক জন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করেছে কোতোয়ালি থানার পুলিশ। মহিলাদের নিরাপত্তায় মোতায়েন থাকছে উইনার্স বাহিনী।

Advertisement

বুধবার সকাল ১০টা থেকে ঘট বিসর্জন শুরু হয়েছে। বিকেলের আগেই তা শেষ হয়ে যাবে। তার পর সন্ধ্যা থেকে প্রতিমা নিরঞ্জন শুরু হবে। এ বছরও থাকছে কৃষ্ণনগরের প্রতিমা নিরঞ্জনের ঐতিহ্যশালী সাঙ। কাঁধে করে প্রতিমা নিরঞ্জন করা হয় কদমতলা ঘাটে। প্রতিমা নিরঞ্জনের জন্য বারোয়ারি পুজো কমিটিগুলিকে নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে। বিশেষ কিছু প্রতিমার জন্য প্রথম বার পরীক্ষামূলক ভাবে ‘গ্রিন করিডর’-এর ব্যবস্থা করছে পুলিশ। যদিও সময়মতো ভাসান শেষ করা নিয়ে ধন্দে রয়েছে প্রশাসন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কৃষ্ণনগর শহরকে ৫০টি সিসি ক্যামেরায় মুড়ে ফেলা হয়েছে। আনা হয়েছে বাড়তি পুলিশকর্মী। ডিএসপি এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদমর্যাদার আধিকারিকেরা নজরদারির দায়িত্বে থাকবেন। কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার সুপার এস অমরনাথ বলেন, ‘‘কৃষ্ণনগরের ঐতিহ্যবাহী জগদ্ধাত্রী পুজো সুসম্পন্ন করতে যা যা আগাম ব্যবস্থা নেওয়া যায়, সব নেওয়া হয়েছে। পুজোর দিন যেমন শান্তিপূর্ণ ভাবে কেটেছে, আশা করছি, ভাসান প্রক্রিয়াও শান্তিপূর্ণ ভাবে শেষ হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement