ছবি: পিটিআই।
রাফাল চুক্তিতে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা হ্যালকে বঞ্চিত করে অনিল অম্বানীর সংস্থাকে বরাত পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। এ বার রাফাল নির্মাতা ফরাসি সংস্থা দাসো অ্যাভিয়েশন ও এমবিডিএ সংস্থা চুক্তির শর্ত মেনে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের গবেষণা সংস্থা ডিআরডিও-কে প্রযুক্তি দিয়ে সাহায্য করছে না বলে আঙুল তুলল সিএজি।
মোদী জমানায় ২০১৬-তে ভারত ও ফ্রান্সের মধ্যে প্রায় ৫৯ হাজার কোটি টাকার বিনিময়ে ৩৬টি রাফাল যুদ্ধবিমান কেনার চুক্তি সই হয়। পাঁচটি রাফাল ইতিমধ্যেই ভারতে চলে এসেছে। লাদাখে টহলদারিও করছে। দাসো-কে ৩৬টি রাফাল যুদ্ধবিমানের বরাত দেওয়ার সঙ্গে শর্ত ছিল, ফরাসি সংস্থা চুক্তি-মূল্যের ৫০ শতাংশ মূল্যের প্রকল্প বা কাজের বরাত ভারতের কোনও সংস্থাকে দেবে বা প্রযুক্তিগত ভাবে সাহায্য করবে। দাসো অনিল অম্বানীর রিলায়্যান্স ডিফেন্সের সঙ্গে চুক্তি করার পরেই কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধী এতে দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন। আজ সিএজি তার রিপোর্টে বলেছে, দাসো ও এমবিডিএ সংস্থা প্রাথমিক ভাবে প্রস্তাব দিয়েছিল, চুক্তির শর্তের ৩০ শতাংশ পূরণ করতে তারা ডিআরডিও-কে উন্নত মানের প্রযুক্তি দেবে। ডিআরডিও হালকা ওজনের যুদ্ধবিমানের জন্য কাবেরী নামক ইঞ্জিন তৈরি করতে এই প্রযুক্তিগত সাহায্য চেয়েছিল। সংসদের বাদল অধিবেশনের শেষ দিনে পেশ করা রিপোর্টে সিএজি জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত দাসো এই প্রযুক্তিগত সাহায্য দেয়নি। এখনও পর্যন্ত নিশ্চিত করে কিছু বলেওনি।
সিএজি-র রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারত-ফ্রান্স চুক্তির আগে ২০১৫-তেই দাসো ও এমবিডিএ এই প্রস্তাব দিয়েছিল। সিএজি-র মতে, শুধু রাফাল-এর ক্ষেত্রে নয়। বহু ক্ষেত্রেই বিদেশি সংস্থা দেশীয় সংস্থাকে বরাত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও সে বিষয়ে দায়বদ্ধতা দেখায় না। ফলে দেশীয় সংস্থাকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার চেষ্টায় এই ধরনের নীতি তৈরি হলেও তাতে কোনও লাভ হয় না।