প্রতীকী ছবি।
আত্মনির্ভর ভারত অভিযান-এর আরও এক প্রকল্পে সরকারি সিলমোহর বসল। ডেয়ারি, মাংস প্রক্রিয়াকরণ, পশু খাদ্য উৎপাদন ক্ষেত্রে বেসরকারি লগ্নি টানতে পশুপালনের পরিকাঠামো উন্নয়নে ১৫ হাজার কোটি টাকার তহবিল তৈরির সিদ্ধান্ত নিল মোদী সরকার। মন্ত্রিসভার বৈঠকে আজ এই সিদ্ধান্ত হয়েছে।
ডেয়ারি ক্ষেত্রে লগ্নি বাড়ানোর জন্য নানা প্রকল্প চালু রাখলেও এখন সরকার বুঝতে পারছে, বড় বেসরকারি সংস্থা বা ছোট-মাঝারি সংস্থার লগ্নি টানতে হলে ওই সংস্থাগুলিকেও উৎসাহ জোগাতে হবে। লকডাউনের পরে অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে, আত্মনির্ভর ভারতের লক্ষ্যে তৈরি ২০ লক্ষ কোটি টাকার আর্থিক প্যাকেজের অঙ্গ হিসেবেই এই ১৫ হাজার কোটি টাকার তহবিলের ঘোষণা হয়েছিল।
মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, চাষিদের সংগঠন, ছোট-মাঝারি সংস্থা ও বেসরকারি শিল্পকে ডেয়ারি, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ বা পশুখাদ্য কারখানা তৈরির জন্য ৩ থেকে ৪ শতাংশ পর্যন্ত সুদের ভর্তুকি দেওয়া হবে। কেন্দ্রীয় পশুপালন মন্ত্রী গিরিরাজ সিংহর দাবি, এতে দুধ উৎপাদন বাড়বে। রফতানি বাড়বে। ৩৫ লক্ষ কর্মসংস্থান হবে। এর আগে শুধু ডেয়ারি পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য ১০ হাজার কোটি টাকার তহবিল তৈরির সিদ্ধান্ত হয়েছে।
মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তের পরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী টুইট করে বলেন, এর ফলে পশুপালন, ডেয়ারিতে লগ্নি ও পরিকাঠামোয় জোয়ার আসবে। আজ মন্ত্রিসভা ছোট সংস্থাকে সুরাহা দিতে প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনায় শিশু ঋণ বা ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণের ক্ষেত্রে এক বছরের জন্য ২ শতাংশ সুদে ভর্তুকির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে সরকারের কোষাগার থেকে ১৫৭২ কোটি টাকা খরচ হবে। প্রধানমন্ত্রীর মতে, এই সিদ্ধান্তে ছোট-মাঝারি শিল্পের বিরাট সুবিধা হবে। ছোট-মাঝারি শিল্পমন্ত্রী নিতিন গডকড়ী আজই লকডাউনের ফলে সঙ্কটে পড়া সংস্থাগুলিকে ঋণ জোগাতে ঋণ-নিশ্চয়তা প্রকল্প চালু করেছেন। ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি ২ লক্ষ সংস্থাকে ২০ হাজার কোটি টাকার ঋণের নিশ্চয়তা দেওয়া হবে এই প্রকল্পে।