প্রতীকী ছবি।
শুধু হরিয়ানা, মহারাষ্ট্রের বিধানসভা ভোটেই নয়, গুজরাত, বিহারের উপনির্বাচনেও ধাক্কা খেল নরেন্দ্র মোদীর দল।
গুজরাতে ছয়টি বিধানসভা আসনে উপনির্বাচনের ফল বেরোতেই স্পষ্ট, মোদী-শাহের নিজের রাজ্যে বিজেপির বিরুদ্ধে হাওয়া জোরালো হয়ে উঠেছে। বিজেপির থেকে একটি আসন ছিনিয়ে নিয়েছে কংগ্রেস। কংগ্রেস জিতেছে ৩টি আসনে। বিজেপিও পেয়েছে তিনটি আসন। হেরে গিয়েছেন দলত্যাগী দুই বিধায়ক ওবিসি নেতা অল্পেশ ঠাকোর ও তাঁর সহযোগী ধবলসিংহ ঝালা। পটেল সংরক্ষণ আন্দোলনের নেতা অল্পেশ ২০১৭ সালে রাধানপুর কেন্দ্রে কংগ্রেস প্রার্থী হয়ে হারান বিজেপিকে। এ বার বিজেপিতে যোগ দিয়ে ওই আসনেই কংগ্রেসের কাছে হেরেছেন তিনি। ঝালাও বিজেপিতে যোগ দিয়ে হেরে গিয়েছেন।
বিহারে ধাক্কা খেয়েছেন এনডিএ-র মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। পাঁচটি বিধানসভা আসনের মধ্যে মাত্র একটি পেয়েছে শাসক দল জেডিইউ। কিষাণগঞ্জ আসনে বিজেপি প্রার্থীকে প্রায় দশ হাজার ভোটে হারিয়ে বিধানসভায় এই প্রথম পা রাখছে আসাদউদ্দিন ওয়েইসির এআইএমআইএম প্রার্থী। আরজেডি জিতেছে দু’টি আসনে। দারাউন্ধা আসনে জিতেছেন নির্দল প্রার্থী। শুধু নাথনগর আসনটিতে নীতীশের দলের প্রার্থী জয়ী হয়েছেন।
সেই তুলনায় বিজেপির ভাল ফল যোগী রাজ্যে। উত্তরপ্রদেশের ১১টি কেন্দ্রের আটটিতে জিতেছে বিজেপি ও শরিকেরা।প্রতাপগড়ে জিতেছে বিজেপি শরিক আপনা দল। তিনটি আসন পেয়েছে সমাজবাদী পার্টি। কংগ্রেস আসন না পেলেও ভোট বেড়ে যাওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা। ভোট গণনায় বিজেপির বিরুদ্ধে কারচুপির অভিযোগ এনেছেন তিনি। শুরু থেকেই গাঙ্গো কেন্দ্রে এগিয়ে ছিলেন কংগ্রেসের নোমান মাসুদ। শেষ পর্যন্ত বিজেপির কাছে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার ভোটে হেরে যান তিনি। ক্ষুব্ধ প্রিয়ঙ্কার অভিযোগ, তাঁদের প্রার্থীকে জোর করে গণনা কেন্দ্রের বাইরে বার করে দিয়েছিল বিজেপি। এক মন্ত্রী কংগ্রেসের এগিয়ে থাকার ব্যবধান কম করে দেখানোর জন্য জেলা শাসককে পাঁচ বার ফোন করেছিলেন। প্রিয়ঙ্কা বলেন, ‘‘এমন হলে ভোট কেন? বিনা ভোটেই জিততে পারে বিজেপি।’’ বিষয়টি নিয়ে নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে তদন্তের দাবি করেছেন তিনি।
তবে অসমে এনআরসি বিতর্ক বিজেপির ভোট ব্যাঙ্কে বিরূপ প্রভাব ফেলেনি। সেখানে চারটি বিধানসভায় ভোট হয়েছিল। তিনটি ধরে রেখেছে বিজেপি। মুসলিম অধ্যুষিত জনিয়া কেন্দ্রে হেরে গিয়েছে কংগ্রেস। অরুণাচলের একটি আসনে জিতেছেন বিজেপি সমর্থিত প্রার্থী। মেঘালয়ের একটি আসনে জিতেছেন প্রাক্তন স্পিকার প্রয়াত ডনকুপার রায়ের ছেলে বালাজিয়েড কুপার সিনরেম।
সতেরটি রাজ্যের ৫১টি বিধানসভা আসন ও দু’টি লোকসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হয়েছিল। বিজেপি পেয়েছে ৩০টি আসন, কংগ্রেস ১২টি, বাকিগুলি গিয়েছে আঞ্চলিক দলের হাতে। মধ্যপ্রদেশের ঝাবুয়া বিজেপির থেকে ফের ছিনিয়ে নিয়েছে কংগ্রেস। রাজস্থানের মান্ডোয়াতেও জিতেছে তারা। পঞ্জাবে কংগ্রেস পেয়েছে তিনটি, অকালি দল জিতেছে একটিতে। তামিলনাড়ুর দু’টি কেন্দ্রে জয়ী এডিএমকে।
দু’টি লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের মধ্যে বিহারের সমস্তিপুরে জিতেছে লোক জনশক্তি পার্টি। মহারাষ্ট্রের সাতারায় জয়ী হয়েছেন এনসিপি প্রার্থী।