স্কুল বাসে চাপা পড়ে মৃত শিশু। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
স্কুলের মধ্যেই ছ’বছরের শিশুকে পিষে দিল স্কুল বাস। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পঞ্জাবের লুধিয়ানার ঘটনা। দুর্ঘটনার পরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন অভিভাবকেরা। শিশুটির পরিবার স্কুল কর্তৃপক্ষের দিকেই আঙুল তুলেছে। বিচার না-মেলা পর্যন্ত শিশুটির শেষকৃত্য করতেও অস্বীকার করেন পরিবারের সদস্যেরা। যদিও পুলিশের দাবি, এই বিক্ষোভের নেপথ্যে রাজনৈতিক উস্কানি রয়েছে।
বিসিএম স্কুলের প্রথম শ্রেণিতে পড়ত আমায়রা সুদ নামে ওই ছাত্রী। তার বাবা অনুরাগ সুদ স্কুলের প্রধান শিক্ষক এবং কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন থানায়। শিশুটির কাকা অমিত সুদের দাবি, দুর্ঘটনাস্থল থেকে রক্ত ধুয়েমুছে দিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। সেখানকার সিসিটিভি ফুটেজও মুছে ফেলা হয়েছে। তাঁর আরও দাবি, বাসের চালককে সেখান থেকে পালাতে সাহায্য করেছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। দুর্ঘটনার সময়ে বাসের কেয়ারটেকার এবং কন্ডাক্টর কোথায় ছিলেন, সেই প্রশ্নও তুলেছে পরিবার। তাদের দাবি, অভিযুক্তদের সকলকে গ্রেফতার না করা পর্যন্ত শিশুটির দেহ সৎকার করা হবে না।
পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় স্কুলের প্রধান শিক্ষক ডিপি গুলেরিয়া এবং পরিচালন সমিতির সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। পুলিশের অ্যাসিসট্যান্ট কমিশনার সুমিত সুদ জানিয়েছেন, লুধিয়ানার স্কুলে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা হয়েছে। তবে পুরভোটের আগে বিষয়টিকে জটিল করা হচ্ছে। নেপথ্যে রয়েছেন কিছু রাজনীতিবিদ। ঘটনাস্থলে যে সিসি ক্যামেরা রয়েছে, তাতে ঘটনাটি ধরা পড়েনি। আশপাশের সব সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। শিশুর পরিবারকে নিরপেক্ষ তদন্তের আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ। স্কুলের প্রধানশিক্ষক এই দুর্ঘটনাকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ বলে জানিয়েছে। যদিও শিশুটির মা রূপিন্দর সুদ পুলিশ বা স্কুল কর্তৃপক্ষের আশ্বাস মানতে চাননি। তাঁর দাবি, স্কুল বন্ধ করা হোক।