শাহ ফয়জ়ল (বাম দিকে)। ঋষি সুনক।
ব্রিটেনের ভারতীয় বংশোদ্ভূত নয়া প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনকের প্রসঙ্গ উত্থাপন করে পাকিস্তানকে কটাক্ষ করলেন শাহ ফয়জ়ল। জানালেন সুনককে প্রধানমন্ত্রী হতে দেখে পাকিস্তানের অনেকেই অবাক হয়েছেন। কারণ সে দেশে সংখ্যালঘুরা কখনও সরকারের শীর্ষপদে যেতে পারেন না। প্রসঙ্গত, জম্মু ও কাশ্মীরের বাসিন্দা ফয়জ়ল ২০১০ সালে আইএএস পরীক্ষায় প্রথম হয়েছিলেন। কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে মতানৈক্যের কারণে তিনি সক্রিয় রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করেন। তৈরি করেন নিজের দল। কিন্তু বিশেষ রাজনৈতিক সাফল্য না মেলায় ২০২০ সালের অগস্ট মাসেই রাজনীতির ময়দান থেকে বিদায় নেন। ফিরে যান নিজের পুরনো পেশায়। কেন্দ্রের বিজেপি সরকার তাঁকে পর্যটন মন্ত্রকের সহকারী সচিব পদে নিযুক্ত করে।
মঙ্গলবার দুপুরে নিজের টুইটার হ্যান্ডলে এই আইএএস আধিকারিক নিজের জীবনের উদাহরণ টেনে লেখেন, “একমাত্র ভারতেই কাশ্মীরের এক জন মুসলমান তরুণ আইএএস পরীক্ষায় প্রথম স্থান অর্জন করে সরকারের শীর্ষপদে যেতে পারেন। সরকারের সঙ্গে মতানৈক্যের কারণে চাকরি ছেড়ে দিতে পারেন। আবার সরকারই সেই তরুণকে আগের চাকরিতে পুনর্বহাল করতে পারে।” এই বক্তব্যের পরেই ফয়জ়ল দাবি করেন, বিশ্বের মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলিতে মুসলমানরা যে অধিকার পান না, ভারতে মুসলমানরা সেই অধিকার পেয়ে থাকেন।
নিজের বক্তব্যের প্রসঙ্গেই সুনকের কথা বলেন ফয়জ়ল। তাঁর কথায়, “সুনকের প্রধানমন্ত্রী হওয়াতে পাকিস্তানের নাগরিকরা অবাক হয়েছেন। কারণ সে দেশে অ-মুসলিমদের সরকারের উচ্চপদে বসতে দেওয়া নিয়ে বিধিনিষেধ আছে।” একই সঙ্গে তাঁর দাবি, ভারতে এ ভাবে ধর্ম বা জাতির ভিত্তিতে কোনও ব্যক্তির সঙ্গে বৈষম্য করা হয় না।