—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
জন্মদিনের পার্টি চলছিল। ভিডিয়ো তুলতে এসেছিলেন যুবক। মাঝপথে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ক্যামেরার রেকর্ডিং। সেই অভিযোগে যুবকের মুখে বন্দুকের নল পুরে গুলি চালিয়ে দেন অভিযুক্ত। বিহারের দ্বারভাঙার বাহেরি থানার অন্তর্গত এলাকার ঘটনা। বুধবার রাতে খুন হন যুবক।
নিহতের নাম সুশীলকুমার সাহনি। সঙ্গে সঙ্গে দ্বারভাঙা মেডিক্যাল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসার সময় মৃত্যু হয় সুশীলের। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত রাকেশ সাহনির মেয়ের জন্মদিন ছিল। সেখানে ভিডিয়ো তোলার জন্য পাশের গ্রামের সুশীলকে ডাকা হয়েছিল। জন্মদিনের ভিডিয়ো তোলার সময় মাঝপথেই সুশীলের ক্যামেরার ব্যাটারির চার্জ ফুরিয়ে যায়।
এই ঘটনায় রেগে যান রাকেশ। অভিযোগ, প্রথমে মারধর করেন সুশীলকে। তার পর তাঁর মুখে বন্দুকের নল ঢুকিয়ে গুলি চালিয়ে দেন। এর পর অভিযুক্ত এক বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে সুশীলকে দ্বারভাঙা হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু ধরা পড়ার ভয়ে সুশীলকে হাসপাতালে দরজায় ফেলে পালিয়ে আসেন। হাসপাতাল কর্মীরা তড়িঘড়ি ছুটে এসে সুশীলকে আপৎকালীন বিভাগে ভর্তি করান। সেখানে চিকিৎসার সময় মৃত্যু হয় তাঁর।
বেনিপুর থানার এসডিপিও জানিয়েছেন, নিহতের বাবা রাকেশের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছেন। যদিও ঘটনার পর থেকে তিনি ফেরার। রাকেশ বেআইনি মদের চোরাচালানেও যুক্ত। তাঁর খোঁজ চলছে। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় তিন জনকে আটক করে জেরা করা হয়েছে। অভিযুক্তের খোঁজে কয়েক জায়গায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে। রাকেশের গ্রেফতারির দাবিতে বৃহস্পতিবার সকালে লহেরিয়াসরাই সড়কে অবরোধ করেন গ্রামবাসীরা। ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলেন। তার পরেই বিক্ষোভকারীরা সরে যান।