কানাডায় নিহত পড়ুয়া চিরাগ আন্তিল। ছবি: সংগৃহীত।
কানাডায় গুলিবিদ্ধ ভারতীয় যুবক চিরাগ আন্তিলের মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা কাটছে না। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কেউ গ্রেফতার হননি। জানা যায়নি, কী ভাবে চিরাগ গুলিবিদ্ধ হলেন, কে বা কারা তাঁকে গুলি করলেন। সে দিন রাতের অভিজ্ঞতার কথা বর্ণনা করেছেন চিরাগের ভাই রোমিত। জানিয়েছেন, গুলিবিদ্ধ হওয়ার কয়েক মিনিট আগেও দাদার সঙ্গে তাঁর ফোনে কথা হয়েছিল।
১২ এপ্রিল রাত ১১টা নাগাদ খুন হয়েছেন কানাডায় প্রবাসী ভারতীয় যুবক চিরাগ। ২০২২ সালে কানাডায় এমবিএ করতে গিয়েছিলেন তিনি। সদ্য পড়াশোনা শেষ করেছিলেন। পেয়েছিলেন চাকরির প্রস্তাবও। তার মাঝেই এই বিপত্তি। ওই দিন রাতে গাড়ির ভিতর থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। স্থানীয়রা জানান, তাঁরা গুলির শব্দ শুনতে পেয়েছিলেন। তবে কে বা কারা গুলি করল, জানা যায়নি।
চিরাগের ভাই রোমিত সোনিপতে পিএইচডি করছেন। তিনি জানিয়েছেন, সে দিন রাতে অন্তত আধ ঘণ্টা তাঁর সঙ্গে দাদার কথা হয়েছে। রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ দাদাকে ফোন করেছিলেন তিনি। চিরাগ তাঁকে জানিয়েছিলেন, কাজ সেরে বাড়ি ফিরে এসেছেন তিনি। এ বার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে একটি পার্টিতে যোগ দিতে যাওয়ার কথা ছিল তাঁর। সেই পার্টি নিয়ে তিনি বেশ উত্তেজিত ছিলেন। বন্ধুদের সঙ্গে খুশি ছিলেন চিরাগ, জানান তাঁর ভাই। ফোনে কথোপকথনের কয়েক ঘণ্টা পর তাঁদের কাছে কানাডা পুলিশের ফোন যায়। চিরাগের মৃত্যু সংবাদ পায় পরিবার।
চিরাগের মৃত্যুর খবর পেয়ে কানাডায় পরিচিতদের পাগলের মতো ফোন করতে শুরু করেন রোমিত। সকলেই জানান, তাঁরা গুলির শব্দ শুনেছেন এবং ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেছেন, চিরাগ গাড়ির ভিতরে পড়ে রয়েছেন। কানাডা পুলিশের তরফেও এখনও পর্যন্ত এই ঘটনার বিশদ তথ্য তাঁদের দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন রোমিত। পাশাপাশি চিরাগের দেহ ভারতে ফিরিয়ে আনার জন্য কেন্দ্রীয় বা রাজ্য সরকারের তরফেও কোনও সাহায্য মেলেনি বলে অভিযোগ। দেহ দেশে ফেরানোর জন্য চিরাগের পরিবার চাঁদা তোলার বন্দোবস্ত করেছেন।