কানাডায় নিহত পড়ুয়া চিরাগ আন্তিল। ছবি: সংগৃহীত।
আমেরিকার পর কানাডা। সেখানে ভারতীয় পড়ুয়াকে গুলি করে খুন। পুলিশ জানিয়েছে, দক্ষিণ ভ্যাঙ্কুভারে গাড়ির ভিতর গুলি করে খুন করা হয়েছে ২৪ বছরের যুবককে।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম চিরাগ আন্তিল। গাড়ির ভিতর যুবকের মৃতদেহ দেখতে পায় পুলিশ। স্থানীয়েরা দাবি করেছেন, তাঁরা গুলির শব্দ শুনেছেন। এক পুলিশ আধিকারিকের কথায়, ‘‘১২ এপ্রিল রাত ১১টা নাগাদ গুলির শব্দ শুনে থানায় ফোন করেন স্থানীয়েরা। ইস্ট ৫৫ অ্যাভিনিউতে যায় পুলিশ। একটি গাড়ির ভিতর চিরাগ আন্তিলের দেহ মেলে। এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। তদন্ত চলছে।’’ ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে কানাডার এক বিশ্ববিদ্যালয়ে এমবিএ করতে গিয়েছিলেন চিরাগ। বাড়ি হরিয়ানায়। সদ্যই পড়াশোনা শেষ হয়েছে। সে দেশে চাকরি করার অনুমোদন পেয়েছিলেন। এর মধ্যেই বিপত্তি।
এই নিয়ে ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন। তাদের আবেদন, ভারতীয় ছাত্রের খুনের যথাযথ তদন্ত করে দোষীদের শাস্তি দেওয়া হোক। এই বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রককে আর্জি জানিয়েছে ছাত্র সংগঠন। এই কঠিন সময় ছাত্রের পরিবারের পাশে থাকার জন্যও কেন্দ্রকে আর্জি জানানো হয়েছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, চিরাগের দেহ দেশে ফেরানোর জন্য আমেরিকার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের মাধ্যমে অনুদান সংগ্রহ করছে তার পরিবার। চিরাগের ভাই রোমিত থাকেন হরিয়ানায়। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর ভাই খুবই ভাল ছিলেন। কী ভাবে এই কাণ্ড, বুঝতে পারছেন না। তাঁর কথায়, ‘‘আমার এবং ভাইয়ের দারুণ সম্পর্ক ছিল। আমরা প্রতি দিন কথা বলতাম। ওই ঘটনার ঠিক আগেই কথা হয়েছিল ওঁর সঙ্গে। খুব খুশি ছিল চিরাগ। আসলে কখনওই কারও সঙ্গে ওঁর কোনও ঝামেলা হত না। খুবই নম্র স্বভাবের ছিল।’’
এর আগে আমেরিকায় একাধিক ভারতীয় পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছে। চার মাসে সে দেশে ১০ জন ভারতীয় পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছে। এপ্রিলের শুরুতে ওহায়োতে এক ভারতীয় পড়ুয়ার মৃত্যু হয়। ভারতীয় কনসুলেট জানায়, মৃত পড়ুয়ার নাম উমা সত্য সাই গাড্ডে। তিনি ওহায়ো প্রদেশের ক্লিভল্যান্ডে পড়াশোনা করছিলেন।