উত্তরপ্রদেশের গণবিবাহের আসরে সারিবদ্ধ ভাবে দাঁড়িয়ে মহিলারা। ছবি: এক্স।
বর নেই। সারিবদ্ধ ভাবে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন কনেরা। প্রত্যেকের মাথায় ঘোমটা। পরনে গাঢ় কমলা রঙের শাড়ি। জমকালো সাজে বিয়ের আসরে হাজির হয়েছেন তাঁরা। কিন্তু বরের দেখা নেই। কিছু ক্ষণ পরে দেখা গেল, কনেরা নিজেরাই নিজেদের গলায় মালা পরিয়ে দিচ্ছেন! গণবিবাহের আসরে বর ছাড়াই সম্পন্ন হচ্ছে বিয়ে।
ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের বালিয়া জেলার। সমাজ উন্নয়ন দফতরের উদ্যোগে মানিয়ার ইন্টারকলেজ চত্বরে গত ২৫ জানুয়ারি গণবিবাহের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখান থেকেই একটি ভিডিয়ো ফুটেজ ছড়িয়ে পড়ে সমাজমাধ্যমে। যা শোরগোল ফেলে দিয়েছে। গণবিবাহে বর ছাড়াই বিয়ে হতে দেখা গিয়েছে ওই ভিডিয়োতে। যদিও ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।
ভিডিয়োটি ছড়িয়ে পড়ার পর স্থানীয় প্রশাসনের তরফে তদন্ত শুরু করা হয়। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, সরকারি টাকা পাওয়ার লোভে ভুয়ো গণবিবাহের আয়োজন করা হয়েছিল। আদৌ কারও বিয়ে হয়নি সেখানে। মহিলারা ঘোমটা দিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন এবং নিজেদের গলায় নিজেরাই মালা পরিয়েছেন। মহিলাদের ভিড়ে অনেক পুরুষও ছিলেন শাড়ি পরে, অভিযোগ স্থানীয়দের।
ওই গণবিবাহের আসরে ৫৬৮ জন যুগলের নাম বিয়ের জন্য নথিভুক্ত করা হয়েছিল। গণবিবাহের জন্য সরকারের তরফে প্রতি যুগলের বরাদ্দ ছিল ৫১ হাজার টাকা। বিয়ে করলেই ওই টাকা পাওয়া যাবে বলে জানানো হয়েছিল। তার মধ্যে ৩৫ হাজার টাকা সরাসরি ঢোকার কথা ছিল কনের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। এ ছাড়া, ১০ হাজার টাকার উপহারও বর, কনের প্রাপ্য হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছিল। এই টাকা এবং উপহার নিতেই ভুয়ো গণবিবাহের আসর আয়োজন করা হয় বলে অভিযোগ।
প্রশাসনের তরফে তদন্তের পর আট জন মহিলার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে মানিয়ার থানায়। সেই সঙ্গে এফআইআর হয়েছে অ্যাডিশনাল ডেভেলপমেন্ট অফিসার সুনীর কুমার যাদবের বিরুদ্ধেও। সরকারি আধিকারিকও এই ভুয়ো আয়োজনের সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে। বিস্তারিত তদন্ত চলছে।