—প্রতীকী ছবি।
আলফা নেতাদের প্রেমের ফাঁদে ফেলতে তরুণীদের যৌনতার প্রশিক্ষণ দেয় অসম পুলিশ! এমনকি তাঁদের আরও আকর্ষক করে তুলতে কসমেটিক সার্জারিও করা হয়! ‘মৃত্যুদণ্ড’ দেওয়া হবে না জেনেই আলফা স্বাধীনের হাতে ধরা পড়া মানস বরগোঁহাই ওরফে মুকুট অসম এমন বিস্ফোরক অভিযোগ আনলেন।
মানস বরগোঁহাই দাবি করেন, মানস চলিহা নামে এসবি-র ‘আঞ্চলিক প্রধান’ তাঁকে নিয়োগ করেছিলেন। কিন্তু আলফা স্বাধীনের দাবি, চলিহা আসলে পুলিশের হয়ে দালালি করে তরুণ-তরুণীদের চরবৃত্তির কাজে নিয়োগ করেন। পরে পুলিশ জানতে পারে, চলিহার নামে প্রতারণার অভিযোগও রয়েছে। আলফা কাণ্ডে পুলিশ তাঁর খোঁজ শুরু করায় রাজ্য ছেড়ে পালান চলিহা। আজ পশ্চিমবঙ্গের আলিপুরদুয়ারের একটি হোটেল থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। আলিপুরদুয়ারের এসপি ওয়াই রঘুবংশী জানান, তিন দিনের ট্রানজ়িট রিমান্ডে তাঁকে অসমে নিয়ে গিয়েছে সে রাজ্যের পুলিশ। মায়ানমারে আলফা স্বাধীন শিবিরে বন্দি মানস বরগোঁহাই নিজেকে পুলিশে বিশেষ শাখার (এসবি) এসআই ও আলফা শিবিরে পাঠানো পুলিশের গুপ্তচর বলে দাবি করলেও সেই দাবি নস্যাৎ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা। পুলিশও জানায়, মানসের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক নেই। কিন্তু মানসের দাবি, সবাই মিথ্যে বলছেন। মানসের বাবা-মা, বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠন এমনকি প্রাক্তন আলফা নেতারাও মানসকে ‘মৃত্যুদণ্ড’ না দেওয়ার জন্য আলফা স্বাধীনের প্রধান পরেশ বরুয়াকে অনুরোধ জানিয়েছিলেন। পরে পরেশ মানসের বাবাকে ফোন করে জানান, তাঁর ছেলে ভাল আছেন। আলফার সঙ্গে সহযোগিতা করায় আপাতত তাঁকে প্রাণে মারা হচ্ছে না।
এর পরেই মানসের-ভিডিয়ো প্রকাশ করে আলফা স্বাধীন। সেখানে তিনি দাবি করেন, মানস চলিহা ও তাঁর প্রেমিকা সহপাঠী। সেই সূত্রে তাঁদেরও পরিচয় ছিল। মানস চলিহা তাঁকে টাকা ও ক্ষমতার লোভ দেখিয়ে এসবি-তে টেনে আনেন। মানস ওরফে মুকুট দাবি করে, পুলিশের হয়ে মানস ও আরও এক মহিলা মেয়েদের যৌনকলার শিক্ষাদানের ব্যবস্থা করত। উদ্দেশ্য, আলফায় যোগদানের পরে বড় নেতাদের জালে ফাঁসানো। মানস চলিহা অবশ্য দাবি করেন, তিনি মানস বরগোঁহাইকে চেনেন না। এসবিতেও চাকরি করেন না।