নিজস্ব চিত্র
পাত্র অঙ্ক জানেন কি না, মালাবদলের আগের মুহূর্তে যাচাই করে নিতে চেয়েছিলেন কনে। তাই গলায় মালা পরানোর আগে পাত্রকে বলেছিলেন দু’য়ের ঘরের নামতা বলতে। পাত্র সেটুকুও বলতে না পারায় মালা ফেলে সটান বিয়ের মণ্ডপ থেকে বেরিয়ে গেলেন পাত্রী। বললেন, অঙ্কের প্রাথমিক জ্ঞান নেই, এমন ছেলের সঙ্গে ঘর করতে পারবেন না তিনি।
ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের মাহোবা এলাকা। পাত্র চিন্তাও করতে পারেননি, সামান্য অঙ্কের প্রশ্ন তাঁর বিয়ে ভেস্তে দিতে পারে। কিন্তু বাস্তবে তেমনই ঘটল। গত শনিবার বরযাত্রী সঙ্গে নিয়ে রাজকীয় বেশে বিয়ে করতে এসেছিলেন পাত্র। সবই ঠিক চলছিল, কিন্তু মালাবদলের আগে হঠাৎই দু’য়ের ঘরের নামতা জিজ্ঞাসা করেন পাত্রী। তা বলতে পারেননি পাত্র। তাতেই ঘটল বিপত্তি।
স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দু’বাড়ির অভিভাবকরা দেখাশোনা করে বিয়ের ঠিক করেছিলেন। কিন্ত পাত্রীর বাড়ির লোকের অভিযোগ, আগাগো়ড়াই পাত্রের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে তাঁদের অন্ধকারে রাখা হয়েছিল। ফলে স্বাভাবিক ভাবে জালিয়াতির অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা। পাত্রীর বোন জানিয়েছেন, ‘‘আমার দিদি যথেষ্ট সাহসী, তাই বিয়ের মণ্ডপ থেকেই জানিয়ে দিতে পেরেছে, ও বিয়ে করবে না।’’
তবে ঘটনা বেশিদূর গড়ায়নি। গ্রামের কর্তাব্যক্তিদের মধ্যস্থতায় ঠিক হয়েছে, বিয়ে হবে না। দু’পক্ষই একে উপরকে সমস্ত উপহার, যৌতুক, গয়নাগাটি ফেরত দিয়ে দিয়েছেন। সামাজিক চোখরাঙানিকে উপেক্ষা করে গ্রামের পাত্রীটি যে ভাবে শিক্ষাগত যোগ্যতা বিচার করে নিজের জীবনসঙ্গী বেছে নিতে চেয়েছেন, তাতে বাহবা দিচ্ছেন অনেকেই।