ফোন না করলেও অবশ্য মমতা এবং তৃণমূলকে টুইটারে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
রবিবারের ফলপ্রকাশের পর অনেকেই অভিনন্দন জানিয়েছেন তাঁকে। ব্যক্তিগত ভাবে ফোন করেছেন দিল্লি, মহারাষ্ট্র, ওড়িশা, পাঞ্জাবের মতো রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা। তবে একটা ফোন যে আসেনি, তা খেয়াল করেছেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ফোন করেননি তাঁকে। সোমবার ভোটের সম্পূর্ণ ফল প্রকাশের পর সাংবাদিক বৈঠকে এ কথা জানান মমতা। ভোটে জয়ী রাজ্যের ভাবী মুখ্যমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানানো প্রধানমন্ত্রীর তরফে রাজনৈতিক সৌজন্য। বিশেষত যখন ভোটের প্রচারে একাধিক বার এসেছেন রাজ্যে তিনি।
কালীঘাটে ওই সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বলেন, ‘‘এই প্রথম দেখলাম কোনও প্রধানমন্ত্রী ফোন করলেন না। আমি অবাক হয়েছি।’’ মমতার মুখে এ কথা শুনে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, ‘‘প্রধামন্ত্রী ফোন করেননি আপনাকে?’’ মমতার জবাব, ‘‘না উনি আমাকে ফোন করেননি। হয়তো ব্যস্ত ছিলেন।’’ এরপরই তৃণমূল নেত্রীর মন্তব্য, ‘‘অবশ্য আমি কিছু মনে করিনি। জাতীয় স্বার্থে এবং রাজ্যের স্বার্থে আমাদের যেখানে একসঙ্গে কাজ করার কথা সেখানে সহযোগিতা থাকলেই হল।’’
ফোন না করলেও অবশ্য মমতা এবং তৃণমূলকে টুইটারে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সরাসরি বার্তালাপ এড়ালেও নেট মাধ্যমে অভিনন্দন বার্তা দিয়েছেন। অবশ্য তেমন শুভেচ্ছা আরও অনেকেই জানিয়েছেন মমতাকে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ এবং কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনও। তবে সোমবারের সাংবাদিক বৈঠকে মমতা অবশ্য বিশেষ করে উল্লেখ করেছেন তাঁদের কথা, যাঁরা তাঁকে ফোন করে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। যেমন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে, ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল এবং পাঞ্জাবের অমরিন্দর সিংহের কথা। অখিলেশ যাদবও যে তাঁকে ফোন করে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, তা বলেছেন মমতা। আর বলেছেন তাঁর কথা, যিনি ফোন করেননি।
প্রসঙ্গত, ভোটের প্রচারে প্রতি সভাতেই মমতাকে ডেকেছেন মোদী। তাঁর বক্তৃতার ছত্রে ছত্রে থাকত ‘দিদি ও দিদি’ ডাক। সেই ডাকে একটা সময়ে বিরক্তও হয়েছেন মমতা। কিন্তু জয়ের পর মোদী সৌজন্যমূলক ফোনটুকু করবেন এমনটা হয়তো তাঁর কাছে প্রত্যাশিত ছিল।