— প্রতীকী চিত্র।
অন্তঃসত্ত্বা মেয়েকে যখন হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় তখন সে নাবালিকা। মাসখানেকেরও বেশি হাসপাতালে থাকার পরে শিশুর জন্ম দেয় সে। কিন্তু হাসপাতাল ছুটি দিতে চায়নি। নাবালিকা বয়সে মা হওয়ায় বিষয়টি তারা পুলিশে জানায়। অন্য দিকে, সদ্য মা হওয়া মেয়েকে হাসপাতাল থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে যেতে আদালতের দ্বারস্থ হয় পরিবার। সংশ্লিষ্ট মামলাকে ‘অদ্ভুত’ এবং ‘চমকপ্রদ’ বলে মন্তব্য করে মা এবং সন্তান দু’জনকেই ছেড়ে দেওয়ার জন্য হাসপাতালকে নির্দেশ দিল বম্বে হাই কোর্ট।
শুক্রবার বিচারপতি বার্গেস কোলাবাওয়ালা এবং বিচারপতি সোমশেখর সুন্দরেশনের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা দায়ের করেছিলেন এক মহিলা। আবেদনে তিনি জানান, এক তরুণের সঙ্গে তাঁর মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তাঁরা নিজেদের ইচ্ছেয় ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক স্থাপন করেছেন। কিন্তু তাঁর মেয়ে নাবালিকা। ১৭ বছর বয়সে সে অন্তঃসত্ত্বা হয়। নাবালিকা মেয়ের গর্ভের অনাগত সন্তানকে তাঁরা কেউই নষ্ট করতে চাননি। প্রসূতি মেয়েকে হাসপাতালে ভর্তি করেছিলেন তিনি। গত ১১ অক্টোবর মেয়ে একটি সন্তানের জন্ম দিয়েছে। মা এবং সন্তান দু’জনেই সুস্থ আছে। কিন্তু এখনও হাসপাতাল তাদের ছুটি দেয়নি।
অন্য দিকে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে আদালতে জানানো হয়েছে, এক নাবালিকা মা হওয়ায় তাঁরা বিষয়টি পুলিশকে জানিয়েছেন। কারণ, আইনত এটি পকসো মামলা। তাঁরা এ-ও জানান, ওই তরুণী তাঁর সন্তানকে দত্তক দিতে সম্মত হলেও যে হেতু তাঁর বিষয়টি সম্পর্কে পুলিশ আগে অবগত ছিল না এবং যে হেতু মা হওয়ার আইনি বয়স হয়নি ওই তরুণীর, সে জন্যই হাসপাতাল ছুটি মঞ্জুর করেনি।
দুই পক্ষের দীর্ঘ সওয়াল জবাবের মধ্যে আদালত তাদের পর্যবেক্ষণে বলে ১৭ বছর কয়েক মাস বয়সে অন্তঃসত্ত্বা হলেও সন্তান জন্ম দেওয়ার কয়েক দিন আগেই ১৮ বছর বয়স পূর্ণ হয়েছে মেয়েটির। তাই আইনত তাঁকে আর আটকে রাখতে পারবে না হাসপাতাল। তা ছাড়া, এ নিয়ে ইতিমধ্যে একটি এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে হাই কোর্ট ওই নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি মামলাকারীকে বলা হয়েছে, তাঁর মেয়ে এবং নাতিকে আপাতত সরকারি হোমে রাখতে হবে। এ ব্যাপারে পুলিশকেও যথাযথ পদক্ষেপ করতে বলা হয়েছে।