মধ্যপ্রদেশের স্কুলে সদ্যোজাতের অর্ধদগ্ধ দেহ উদ্ধার। —প্রতীকী চিত্র।
স্কুলের মধ্যেই সন্তান প্রসব করল একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। পরের দিন সেই সদ্যোজাত সন্তানের অর্ধদগ্ধ দেহ উদ্ধার করা হল ওই স্কুল থেকেই। কী করে নাবালিকা অন্তঃসত্ত্বা হল, সদ্যোজাতের মৃত্যুই বা কার হাতে, কী ভাবে, খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ছাত্রীর কাকাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।
ঘটনাটি মধ্যপ্রদেশের সাগর জেলার। সেখানকার একটি সরকারি স্কুলে ১৬ বছর বয়সি ছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। স্কুলে থাকাকালীনই প্রসবযন্ত্রণা উঠেছিল তার। গত ২ ডিসেম্বর সন্তান প্রসব করে একাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রী। ঘটনার পর রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা ওই স্কুল পরিদর্শন করেন। কিশোরীর স্বাস্থ্যপরীক্ষা করে দেখা হয়। সে এবং সদ্যোজাত সুস্থ ছিল, দেখে যান স্বাস্থ্যকর্তারা। তার পরের দিনই স্কুলে সদ্যোজাতের দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। শিশুর দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, শিশুর দেহ আধপোড়া অবস্থায় ছিল। দেহে কেউ আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন না দুর্ঘটনায় আগুন লেগে গিয়েছে, আগুনে পুড়েই তার মৃত্যু হয়েছে কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে। স্কুলের নিরাপত্তারক্ষী এবং অন্য কর্মচারীদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। খতিয়ে দেখা হচ্ছে স্কুলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজও।
প্রসূতি ছাত্রীর মায়ের বয়ানে গোটা ঘটনাটি আরও জটিল হয়ে উঠেছে। তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন, তাঁর কন্যার সন্তানসম্ভাবনার কথা তিনি কিছুই জানতেন না। কী ভাবে ওই সন্তানের জন্ম হল, তা-ও তাঁর জানা ছিল না। অথচ, ছাত্রী এবং তার সহপাঠীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পেরেছে, সে গত কয়েক মাস ধরে স্কুলে অনুপস্থিত ছিল। কিছু দিন আগে থেকে আবার স্কুলে আসতে শুরু করেছিল।
ছাত্রীর কাকাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। তাঁর কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, তদন্তে অপরাধের প্রমাণ মিললে উপযুক্ত আইনি পদক্ষেপ করা হবে।