(বাঁ দিকে) শিন্ডেসেনা নেতার পুত্র মিহির শাহ। দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়ি (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
৭২ ঘণ্টা কেটে গেলেও এখনও অধরা মুম্বইয়ের বিএমডব্লিউকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত মিহির শাহ। শুধু তিনি একা নন, তাঁর পরিবারের অনেক সদস্যই ‘বেপাত্তা’। সেই তালিকায় আছেন মিহিরের মা এবং বোনও। মিহিরের মতো তাঁদের মোবাইলও বন্ধ। এমনই খবর পুলিশ সূত্রে।
রবিবার ভোরে স্ত্রী কাবেরীকে নিয়ে সুসান ডকে ব্যবসার জন্য মাছ কিনতে গিয়েছিলেন প্রদীপ নাকভার। স্কুটারে করে মাছ কিনে ফেরার পথে ঘটে দুর্ঘটনা। প্রদীপের স্কুটারের পিছনে বিএমডব্লিউ নিয়ে ধাক্কা মারেন মিহির। প্রদীপ রাস্তায় ছিটকে পড়ে গেলেও কাবেরীকে টেনে নিয়ে যায় বিএমডব্লিউ। দুর্ঘটনায় কাবেরীর মৃত্যু হয়। তার পর থেকেই পলাতক মিহির। এই ঘটনায় পুলিশ মিহিরের বাবা রাজেশ শাহ এবং গাড়ি চালক রাজঋষি বিদাওয়াতকে গ্রেফতার করে পুলিশ। যদিও গ্রেফতারি ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই আদালত থেকে ১৫ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন পান রাজেশ। তবে এখনও পুলিশ হেফাজতে গাড়ির চালক।
রাজেশ এক জন শিবসেনা (একনাথ শিন্ডে শিবির) নেতা। মৃতার স্বামীও দাবি করেছেন, ‘‘দোষীরা প্রভাবশালী, তাই তাঁদের শাস্তি হবে না।’’ এই নিয়ে যখন বিতর্ক মাথাচাড়া দিচ্ছে, তখনই মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী শিন্ডে স্পষ্ট জানান, ধনী হোন বা রাজনীতিক, দোষ করলে ছাড় পাবেন না কেউই। পাশাপাশি তিনি এ-ও জানান, ভুক্তভোগী পরিবারের পাশে সব সময় রয়েছে তাঁর সরকার।
এ দিকে, সোমবার আদালতে পুলিশ জানিয়েছে, স্কুটিতে ধাক্কা মারার পর প্রথমেই বাবাকে ফোন করেছিলেন মিহির। বিশদ জানিয়েছিলেন গোটা ঘটনা। এর পর রাজেশই তাঁকে পরামর্শ দেন, পাশের আসনে বসে থাকা চালকের সঙ্গে দ্রুত জায়গা বদল করে নিতে। চালকের ঘাড়েই সমস্ত দোষ তিনি চাপাতে চেয়েছিলেন।
ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে মিহির প্রথমে তাঁর প্রেমিকার বাড়িতে গিয়েছিলেন বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। তার পর সেখান থেকেও পালিয়ে যান। এ বিষয়ে প্রেমিকাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন তদন্তকারীরা। তিনি মিহিরকে পালাতে সাহায্য করেছিলেন কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত পুলিশ একাধিক ব্যক্তিকে জেরা করেছে। তবে মিহিরের মা, বোনদের সঙ্গে যোগযোগ করা সম্ভব হয়নি বলে পুলিশ সূত্রে খবর।