—প্রতীকী চিত্র।
মেয়ে এবং নাতি বাইরে ছিলেন। ওই সময় ঘরে ঢুকে এক অন্ধ মহিলাকে ধর্ষণ করেন তাঁরই এক পরিচিত। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে বাড়িতে ফিরেছিলেন নির্যাতিতা। কিন্তু নিজের ঘরে ঢুকে কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যা করলেন তিনি। কর্নাটকের মাইসুরুর এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত ৩০ মে কর্নাটকের বিজয়নগর জেলায় এক ৫৮ বছর বয়সি মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। মেয়ে এবং নাতির সঙ্গে থাকতেন ওই মহিলা।
পুলিশ জানায়, নিজের বাড়িতে ছিলেন নির্যাতিতা। সেই সময় ওই বাড়িতে আসেন এক যুবক। তিনি নির্যাতিতার পরিবারের পরিচিত। কিন্তু বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে তিনি ওই অন্ধ মহিলাকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ।
মেয়ে বাড়িতে ফিরে মাকে অসংলগ্ন অবস্থায় দেখে থানায় যান। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারেন ওই মহিলাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। নির্যাতিতার বয়ান শোনার পর তাঁর মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। মেডিক্যাল পরীক্ষার পর চিকিৎসকেরা জানান, মহিলাকে ধর্ষণই করা হয়েছে। এর পর মামলা দায়ের করে পুলিশ। তদন্তে নেমে ৩১ বছরের এক যুবককে অভিযুক্ত করা হয়েছে। পুলিশ জানতে পারে, নির্যাতিতার মেয়ে এবং নাতি একটি বিয়েবাড়িতে গিয়েছে জেনেই ওই বাড়িতে যান অভিযুক্ত। ধর্ষণের পর তিনি পালিয়ে যান। নির্যাতিতার কাছে বর্ণনা পেয়ে অভিযুক্তকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাঁর খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ। এর মধ্যে শুক্রবার নির্যাতিতাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু বাড়িতে ফিরেই তিনি আত্মহত্যা করেন।