বালেশ্বরে দুর্ঘটনাস্থলে সারি সারি মৃতদেহ। নিজস্ব চিত্র।
ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃতদের মধ্যে অনেকেরই পরিচয় এখনও জানা যায়নি। খোঁজ মেলেনি পরিবারের কারও। সেই সমস্ত মৃত আপাতত বালেশ্বর থেকে সরিয়ে ফেলা হচ্ছে। আরও ভাল করে যাতে মৃতদেহ সংরক্ষণ করা যায়, তাই সেগুলিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে রাজধানী ভুবনেশ্বরে। তেমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওড়িশা সরকার।
বালেশ্বরের চেয়ে ভুবনেশ্বরে মৃতদেহ সংরক্ষণের পরিষেবা তুলনামূলক উন্নত। তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান ওড়িশার মুখ্যসচিব প্রদীপ কুমার জেনা। তিনি জানান, এখনও পর্যন্ত ১৬০টি মৃতদেহ শনাক্ত করা যায়নি। শনিবার সন্ধ্যায় মুখ্যসচিব বলেন, ‘‘আমরা ১৬০টি মৃতদেহ ভুবনেশ্বরে নিয়ে আসব। সেগুলি রাজধানীর বিভিন্ন সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালের মর্গে সংরক্ষণ করে রাখা হবে।’’
৪২ ঘণ্টা সংরক্ষিত অবস্থায় রাখা থাকবে দেহগুলি। তার মধ্যে পরিচিতদের ভুবনেশ্বরে এসে দেহ শনাক্ত করতে হবে। এই সময়ের মধ্যে যে সমস্ত মৃতদেহ শনাক্ত করা যাবে না, সেগুলি নির্দিষ্ট মেডিক্যাল পদ্ধতি মেনে সৎকার করে ফেলবে ওড়িশা সরকার।
মুখ্যসচিব জানান, দুর্ঘটনার জন্য ভদ্রক এবং বালেশ্বরে ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়েছে। তাই সরাসরি ভুবনেশ্বরে এসে মৃতদের আত্মীয়েরা দেহ শনাক্ত করে যেতে পারেন।
দুর্ঘটনাস্থল থেকে যে মৃতদেহগুলি শনাক্ত করা গিয়েছে, সেগুলি ময়নাতদন্তের পর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। যাঁদের চেনা যায়নি, তাঁদের দেহগুলি বালেশ্বরের বাহানগা হাই স্কুল এবং উত্তর ওড়িশা চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির একটি অস্থায়ী মর্গে রাখা হয়েছিল। সেখান থেকেই ভুবনেশ্বরে পাঠানো হবে দেহগুলি। ওড়িশার বিভিন্ন হাসপাতালে এখনও বহু মানুষ চিকিৎসাধীন। অনেককে ছেড়েও দেওয়া হয়েছে।