বিস্ফোরণস্থলে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের দল। ছবি: ভিডিয়ো থেকে।
উত্তরপ্রদেশের ফিরোজাবাদে বাজি তৈরির কারখানায় বিস্ফোরণ। সোমবার ভোরে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে ফিরোজাবাদের শিকোহাবাদ থানা এলাকার অন্তর্গত নৌশেরা গ্রামে। দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত চার জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও ৬ জন। বিস্ফোরণের অভিঘাত এতটাই বেশি ছিল যে, সংলগ্ন একটি বাড়ির ছাদ ভেঙে পড়েছে। ধ্বংসস্তূপের নীচে আরও কেউ চাপা পড়ে রয়েছেন কি না, সে বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়। পুলিশ ইতিমধ্যে দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধারকাজ শুরু করেছে। কী ভাবে বিস্ফোরণ হল, তা এখনও জানা যায়নি। তবে ওই কারখানার একটি ঘরে প্রচুর পরিমাণে বাজি মজুত করে রাখা ছিল। সেখান থেকেই কোনও ভাবে বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে প্রাথমিক ভাবে অনুমান।
বিস্ফোরণের যে তীব্রতা ছিল তাতে ওই কারখানা তো বটেই, পাশের একটি বাড়িও ভেঙে পড়েছে। মঙ্গলবার ভোরে আচমকা জোরালো শব্দ শুনতে পান এলাকাবাসীরা। কী ধরনের বাজি সেখানে মজুত করা ছিল, নিয়ম মেনে ওই বাজি কারখানা চলছিল কি না, তা নিয়ে স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
দুর্ঘটনার পর ইতিমধ্যে একটি উদ্ধারকারী দল পাঠানো হয়েছে ফিরোজাবাদের ওই বাজি কারখানায়। উত্তরপ্রদেশ পুলিশের আগরা রেঞ্জের আইজি দীপক কুমার জানিয়েছেন, শিকোহাবাদ থানা এলাকায় একটি বাড়িতে প্রচুর পরিমাণে বাজি মজুত করে রাখা ছিল। মঙ্গলবার ভোরে সেখানে বিস্ফোরণ হয়েছে। তিনি বলেন, “বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে, পাশের একটি বাড়ির ছাদ ভেঙে গিয়েছে। ধ্বংসস্তূপ থেকে পুলিশ ১০ জনকে বার করেছিল। তাদের মধ্যে চার জনের মৃত্যু হয়েছে। বাকি ছয় জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। উদ্ধারকাজ এখনও চলছে।”
ফিরোজাবাদের জেলাশাসক রমেশ রঞ্জন জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার পর জেলা হাসপাতাল ও মহকুমা হাসপাতালগুলিকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। চিকিৎসকদের একটি দল ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলে গিয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে অ্যাম্বুল্যান্সও। দমকল ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কর্মীরা উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছেন।