বাজেটে জোড়া সমস্যার মুখোমুখি হতে হবে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে। —ফাইল চিত্র।
এক দিকে বিশ্ব বাজারের অনিশ্চয়তা, অন্য দিকে দেশে আর্থিক কর্মকাণ্ডের ঝিমুনি— আগামী বাজেটে এই জোড়া সমস্যার মুখোমুখি হতে হবে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে। এই অবস্থায় রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের ঋণনীতি কমিটির সদস্য তথা অর্থনীতিবিদ নাগেশ কুমারের পরামর্শ, দেশের অর্থনীতিকে গতিশীল করতে গেলে সরকারি খরচের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে। বিশেষ করে জোর দিতে হবে পরিকাঠামো ক্ষেত্রে।
রবিবার এক সাক্ষাৎকারে নাগেশের ব্যাখ্যা, অতিমারি ভারতীয় অর্থনীতিকে বড়সড় ধাক্কা দিয়েছিল। পরবর্তী কয়েক বছরে আর্থিক কর্মকাণ্ডকে গতিশীল রাখে সেই সময়ের জমে থাকা চাহিদা। সরকারি খরচও তাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। কিন্তু এখন সেই পরিস্থিতি বদলেছে। ভারতের অর্থনীতি অতিমারির আগের জায়গায় ফিরেছে। শেষ হয়েছে জমে থাকা সেই চাহিদাও। এ বার অর্থনীতিকে গতি দিতে চাই আরও সরকারি খরচ। যা অর্থমন্ত্রী শুরু করেছেন কয়েক বছর আগেই।
এই বক্তব্যের সঙ্গে সহমত মূল্যায়ন সংস্থা ইওয়াই-এর মুখ্য নীতি উপদেষ্টা এবং ষোড়শ অর্থ কমিশনের পরামর্শদাতা পরিষদের সদস্য ডি কে শ্রীবাস্তব। তাঁর মতে, আগামী অর্থবর্ষে সরকারি খরচ চলতি অর্থবর্ষের সংশোধিত খরচের থেকে অন্তত ২০% বাড়ানো প্রয়োজন। একই সঙ্গে তাঁর আরও বক্তব্য, শহরাঞ্চলে চাহিদায় ঝিমুনির ছাপ স্পষ্ট। এই পরিস্থিতির বদল ঘটাতে গেলে কেন্দ্রীয় বাজেটে ব্যক্তিগত আয়কর কমিয়ে সাধারণ মানুষের হাতে বাড়তি টাকা থাকার ব্যবস্থা করতে হবে।
ডেলয়েট ইন্ডিয়ার পার্টনার (পরোক্ষ কর) হরপ্রিত সিংহের বক্তব্য, দেশে উৎপাদিত পণ্যের কাঁচামালের খরচ কমাতে সেগুলির আমদানি শুল্ক কমানো দরকার। তাতে জিনিসপত্রের দামও কমবে। সুলভ হবে সাধারণ মানুষের কাছে। বাড়বে পণ্যের চাহিদা।